- শাহাদাতুর রহমান সোহেল
১৯৭৯ সালে সংঘটিত ইরানের ইসলামী বিপ্লব সম্পর্কে সবাই অবগত। এই ইরানের ইসলামী বিপ্লবের অন্যতম প্রধান আদর্শিক প্রেরণা ছিল জামায়াতে ইসলামী কর্তৃক প্রচারিত বিপ্লবী ইসলামী সাহিত্য। ইরানের ইসলামী বিপ্লবের সময় সখানকার মানুষের হাতে হাতে ছিল সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদূদী, সাইয়েদ কুতুব শহীদ ও আল্লামা ইকবালের বই। এর মধ্যে আল্লামা মওদূদী রহ: এর বই ই ছিল সবচেয়ে বেশী। তাইতো ইরানের ইসলামী বিপ্লবের নেতৃবৃ্ন্দ স্বীকার করেছেন যে, ইরানের ইসলামী বিপ্লবের জন্য শহীদ হাসানুল বান্না, শহীদ কুতুব, ইকবালের কাছে যেমন তারা ঋণী, মাওলানা মওদূদী রহ এর কাছেও তারা ঋণী। কারণ তার সাহিত্য তাদেরকে ইসলামী বিপ্লব সাধনে প্রেরণা যুগিয়েছে" ( ইসলামী পূণর্জাগরণ ও মাওলানা আবুল আলা মওদূদী, অধ্যাপক মুহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস, সাপ্তাহিক সোনার বাংলা, ৫০ বছর পূর্তি সংখ্যা ১৯৯১ ইং)। ইতিহাসবেত্তা ফিলিপ জেনকিন্স বলেন, Mawdudi even had a major impact on Shia Iran, where Ayatollah Ruhollah Khomeini is reputed to have met Mawdudi as early as 1963 and later translated his works into Farsi. “To the present day, Iran’s revolutionary rhetoric of ten draws on his themes. (tnr. com The New Republic “The Roots of Jihad in India” by Philip JENKINS, December 24, 2008) অর্থাৎ ''এমনকি শিয়া অধ্যুষিত ইরানেও মওদুদীর বড় ধরণের প্রভাব আছে। ইরানের ইসলামী বিপ্লবের নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনী ১৯৬৩ সালে মাওলানা মওদুদীর সাথে সাক্ষাত করেন, পরবর্তীতে ইমাম খোমেনী মওদুদীর বইগুলো ফার্সি ভাষায় অনুবাদ করেন। এখনো পর্যন্ত প্রায়শঃই ইরানের ইসলামী সরকার মাওলানা মওদুদীর কর্মপন্থা অনুসরন করে থাকে।'' উস্তাজ সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদূদী (রহ.)-এর ছেলে ড. আহমাদ ফারুক মওদূদীর একটি উক্তি এখানে উল্লেখ করা হলো: ১৯৭৯ সালে পাকিস্তানের লাহোর থেকে প্রকাশিত Roz Naame নামক একটি পত্রিকায় ড. আহমাদ ফারুক মওদূদীর লেখা 'Two brothers- Maududi and Khomeini' বইয়ের ১২৯ পৃষ্ঠার কিয়দংশ প্রকাশিত হয়। সেখানে ড. আহমাদ লিখেছিলেন- Allama Khomeini had a very old and close relationship with Abba Jaan (father). Aayaatullah Khomeini translated his (fathers) books in Farsi and included it as a subject in Qum. অর্থাৎ “আব্বাজানের সঙ্গে আল্লামা খোমেনীর খুবই অন্তরঙ্গ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। জনাব খোমেনী আব্বার বইপত্র ফার্সিতে অনুবাদ করেছিলেন এবং কোম (Qom)-এ সেগুলো পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন”। এখানে উল্লেখ্য যে, মাওলানা মওদূদী ও সাইয়েদ কুতুবের অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ রচনাবলির ফার্সি অনুবাদক হাদী খোরাসানীর সঙ্গে ১৯৬৮ সালে হজ্বব্রত পালনকালে পাকিস্তান জামায়াতের নায়েবে আমির মৌলানা খলিল আহমাদ হামিদী সাক্ষাত করেছিলেন। “মাওলানা মওদূদী রহঃ ও তাত্ত্বিক আলোচনা” নামের ফেইসবুক গ্রুপে নূরুল হুদা হাবীব “ইরানের ইসলামী বিপ্লব, মাওলানা মওদূদী ও তৎকালীন পাকিস্তান জামায়াত” শীর্ষক এক নিবন্ধে লিখেন: “১৯৭৯ সালের মধ্য জানুয়ারিতে বিপ্লব সংঘটিত হলে ২২ শে ফেব্রুয়ারি মাওলানা মওদূদীর বিশেষ বার্তা সহ দলীয় আরেক শীর্ষ নেতা মিয়া তুফাইল মুহাম্মদ পাকিস্তান থেকে তেহরানের উদ্দেশ্যে উড়াল দেন। জামায়াত সহ মুসলিম বিশ্বের সমমনা সংগঠনসমূহের নেতৃবৃন্দের এক মিলনমেলায় পরিণত হয় তেহরান। বলার অপেক্ষা রাখেনা, মুসলিম ব্রাদারহুড এ মিলনমেলার আয়োজনে মূখ্য ভূমিকা পালন করেছিল। ইরানের তৎকালীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ইবরাহীম ইয়াজদি (মৃ. ২০১৭) ব্যক্তিগতভাবে তার নিজ বাসায় মিয়া তুফাইলের মেহমানদারী করেছিলেন। গভীর রাত পর্যন্ত তারা সদ্যঘটিত বিপ্লব এবং বিশ্বব্যাপী ইসলামী আন্দোলন প্রসঙ্গে আলাপ করেন৷ সে রাতের আলাপচারিতার ব্যাপারে পরবর্তীতে জনাব তুফাইল মন্তব্য করেছিলেন- "Conversation not of tougues, but of hearts" ............. পাকিস্তান জামায়াতের অন্যতম বর্ষীয়ান নেতা জনাব লিয়াকত বেলুচ বিপ্লবের আগে-পরে খোমেনীর সঙ্গে তিন তিনবার সাক্ষাত করেছিলেন। ২০১৯ সালে লাহোরে ইরানের ইসলামী বিপ্লবের ৪০ তম বার্ষিকী উদযাপনের এক আলোচনা সভায় তিনি এ বিপ্লবের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। পাশ্চাত্যের অনুকরণের বাইরে গিয়ে ইরান ভিন্নধর্মী একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েম করেছে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেছিলেন।” বিশ্বব্যাপী ইসলামী আন্দোলনের কর্ণধার আল্লামা সাইয়্যেদ আবুল আ’লা মওদুদী ১৯৭৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ইন্তেকালের পর তাঁর নামাজে জানাযায় আয়াতুল্লাহ খোমেনীর বিশেষ প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া এখানে উল্লেখ্য যে, আল্লামা সাঈদী ইরানে ইসলামী বিপ্লবের প্রথম বার্ষিকীর আমন্ত্রিত মেহমান ছিলেন। ১৯৮৩ সালে আয়াতুল্লাহ খোমিনীর আমন্ত্রনে ইরানের বিভিন্ন এলাকা সফর করে তিনি বিভিন্ন মাহফিলে কোরআনের তাফসীর পেশ করেন এবং বিভিন্ন সেমিনার-সিম্পোজিয়ামে প্রধান অতিথি হিসাবে অংশগ্রহণ করেন।
আধুনিক যুগে ইরানের ইসলামী বিপ্লব এক অনন্য ঘটনা। ইসলামী বিপ্লবের উষালগ্নে পরিকল্পিত বোমা বিস্ফারনের মাধ্যমে ৭২ জন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিকে হত্যা, ইরাক কর্তৃক চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধ, আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক অবরোধ ইত্যাদিকে স্বার্থকভাবে মোকাবেলা করে ইরানের ইসলামী বিপ্লবের টিকে থাকা এর শ্রেষ্ঠত্বের নিদর্শন। সারা পৃথিবীর কোন দেশে যখন ইসলামী সরকার ছিল না তখন ইরানের এই ইসলামী বিপ্লবের সফলতা সারা বিশ্বের ইসলামী আন্দোলনকে বিপুল প্রেরণা দান করেছে। ইরানের ইসলামী শক্তি শুধু নিজ দেশে ইসলামী বিপ্লব সাধন করেই ক্ষান্ত হয়নি । দেশে দেশে চলমান ইসলামী আন্দোলন গুলোকেও ইরান দৃঢ় সমর্থন, শক্তি এবং অর্থ যোগানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ফিলিস্থিনের ইন্তিফাদা, আলজেরিয়ার ইসলামী পূণর্জাগরণ, তিউনিশিয়া, মিশর এবং জর্দানসহ মধ্যপ্রাচ্যের অধিকংশ দেশে ইসলামী আন্দোলনের প্রতি ইরান সমর্থন ও শক্তি যুগিয়ে চলেছে। যেমন- আলজেরিয়ার জনসমর্থনপুষ্ট ইসলামী আন্দোলনের প্রতি ইরান দৃঢ় সমর্থন ব্যক্ত করে এবং এর উপর আলজেরিয়ার স্বৈরাচারী সরকারের জুলুম নির্যাতনের প্রতিবাদ জানায়। ইরানপন্থী লেবানানী হিজবুল্লাহদের সাফল্যও এখানে উল্লেখ্য । হিজবুল্লাহদের সাথে যুদ্ধে পরাজিত হয়ে ইসরাইলী বাহিনী দক্ষিণ লেবানান থেকে বিতাড়িত হয়। ইসরাইল ১৯৭৮ সালে দক্ষিন লেবানানে প্রবেশ করে এবং ইসরাইলের উত্তর সীমান্তকে সুরক্ষিত রাখার জন্য দক্ষিন লেবানানে স্থানীয় এক মিলিশিয়া বাহিনী গড়ে তোলে। জাতি সংঘ নিরাপত্তা পরিষদ দক্ষিন লেবানন থেকে সকল ইসরাইলী সৈন্য প্রত্যাহারের আহবান জানিয়ে ৪২৫ নম্বর প্রস্তাব অনুমোদন করে। তবে ইসরাইল একে তোয়াক্কা করেনি। পরবর্তীতে ১৯৮২ সালে ইসরাইলী বাহিনী লেবানানে নৃশংস আগ্রাসন চালায় এবং তারা তিনমাস ধরে রাজধানী বৈরুতে অবরোধ করে রাখে। ইসরাইলী বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র জিহাদের লক্ষ্যে ইসলামপন্থীরা গড়ে তোলে সুদক্ষ যোদ্ধাদল হিজবুল্লাহ। হিজবুল্লাহদের সাথে ইসরাইলী বাহিনীর অগণিত লড়াই সংঘটিত হয়েছে। প্রাণহানী ঘটেছে উভয় পক্ষে ব্যাপক ভাবে। হিজবুল্লাহর অনমনীয় মনোভাব লেবানানের মুসলমানদের মধ্যে আশার সঞ্চার করে। দখলদারীর প্রথম কয়েক বছরেই ইসরাইল দক্ষিণ লেবানান থেকে ফিলিস্তিনী যোদ্ধাদের হটিয়ে দিতে সমর্থ হয়। এরপর পরই হিজবুল্লাহর অভ্যুদয় ইসলাইলীদের হিসাব গরমিল করে দেয়। হিজবুল্লাহদের সশস্ত্র জিহাদের এক পর্যায়ে ইসরাইলের নিজের এলাকাতেই হিজবুল্লাহদের হাতে তিনশত নৌসেনা ও ফরাসী সৈন্য নিহত হয়। এরপর পরই আমেরিকানরা তাদের বাহিনী পূণরায় নিযোগ করে। মার্কিন ডেষ্ট্রয়ার থেকে লেবানানের গ্রাম ও হিজবুল্লাহ অবস্থানের উপর ব্যাপক বোমা বর্ষণ করা হয়। তবে এতেও মার্কিনীরা হিজবুল্লাহকে দমাতে পারেনি। ১৯৮৫ সালের ইসরাইল নিতানী নদীর উত্তর দিক থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়। এ সফলতার পর ১৫ বছর ধরে হিজবুল্লাহ ইসরাইলী বাহিনীর উপর তাদের আক্রমন অব্যাহত রাখে। দক্ষিণ লেবানানে দখলদার বাহিনীর সাথে তাদের প্রতিরোধ সংগ্রাম চলে প্রতিদিনই। হিজবুল্লাহ বাহিনীকে স্তব্ধ করে দেয়ার জন্য ইসরাইল সব ধরণের কৌশলই অবলম্বন করে। তাদের সব অপকৌশল ব্যর্থ হয়েছে। এ অবস্থায় মে ২০০০ ইং তারিখে ইসরাইল দক্ষিণ লেবানান থেকে তার সম্পূর্ণ বাহিনী প্রত্যাহার করে নেয়। ১৯৪৮ সালে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর আরব রাষ্ট্র গুলোর সাথে সকল যুদ্ধে ইসরাইলী বিজয় অর্জন করে এবং আরব রাষ্ট্রগুলোর ভূখন্ড একের পর এক দখল করে। এবারই প্রথম হিজবুল্লাহ বাহিনীর সাথে সশস্ত্র যুদ্ধে পরাজিত হয়ে ইসরাইল কোন আরব ভূখন্ড থেকে বিতাড়িত হয়। এরপর ২০০৬ সালে ইসরাইলের ২য় লেবানান যুদ্ধে ইসরাইল হিজবুল্লাহর কাছে ২য়বার পরাজয় বরণ করে। ইরানের ইসলামী বিপ্লাব সম্পর্কে আলোচনা প্রসংগে কিছুটা দীর্ঘ হলেও হিজবুল্লাহদের সাফল্য সম্পর্কে আলোচিত হল। এ হিজবুল্লাহদের এ সাফল্যের পিছনে আদর্শিক প্রেরণা, সমর্থন এবং শক্তির প্রধান উৎস ছিল ইরানের ইসলামী সরকারে। আফগানিস্তান জিহাদেও ইরানের ইসলামী সরকারের অবদান রয়েছে। আফগানিস্তান জিহাদ চলাকালে প্রায় ১৫ লক্ষ আফগান উদ্বাস্তুকে ইরান আশ্রয় দিয়েছে। সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে সশস্ত্র জিহাদে বিভিন্নভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করেছে। এভাবে ইরানের ইসলামী বিপ্লবী সরকার বিশ্ব ইসলামী আন্দোলনের ক্ষেত্রে বিরাট শক্তি সৃষ্টি করে চলেছে।
শিয়া হিসাবে তাদের কিছু ত্রুটি আছে, কিন্তু তারা ইসলাম ও মুসলমানদের পক্ষে যে বিরাট অবদান রাখছে তার স্বীকৃতিও দেওয়া উচিত।
আল-কোরআন ও হাদীসে পারস্য তথা ইরান সম্পর্কে গুরুত্বসহকারে আলোচিত হয়েছে। পবিত্র কুরআনের সুরা জুমায় বলা হয়েছে:
هُوَ الَّذِیۡ بَعَثَ فِی الۡاُمِّیّٖنَ رَسُوۡلًا مِّنۡهُمۡ یَتۡلُوۡا عَلَیۡهِمۡ اٰیٰتِهٖ وَ یُزَکِّیۡهِمۡ وَ یُعَلِّمُهُمُ الۡکِتٰبَ وَ الۡحِکۡمَۃَ ٭ وَ اِنۡ کَانُوۡا مِنۡ قَبۡلُ لَفِیۡ ضَلٰلٍ مُّبِیۡنٍ ۙ(۲) وَّ اٰخَرِیۡنَ مِنۡهُمۡ لَمَّا یَلۡحَقُوۡا بِهِمۡ ؕ وَ هُوَ الۡعَزِیۡزُ الۡحَکِیۡمُ(۳)
অর্থাৎ “তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসূল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য থেকে, যিনি তাদের কাছে তেলাওয়াত করেন তার আয়াতসমূহঃ তাদেরকে পবিত্র করেন এবং তাদেরকে শিক্ষা দেন কিতাব ও হিকমত; যদিও ইতোপূর্বে তারা ছিল ঘোর বিভ্ৰান্তিতে; এবং তাদের মধ্য হতে অন্যান্যদের জন্যও যারা এখনো তাদের সাথে মিলিত হয়নি। আর আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়” (সুরা জুমা: ২ ও ৩ আয়াত)।
“অন্যান্যদের জন্যও যারা এখনো তাদের সাথে মিলিত হয়নি” - এই আয়াতের উদ্দীষ্ট হলো নিঃসন্দেহে কিয়ামত পর্যন্ত আগমনকারী বিভিন্ন দেশের মুসলিম। ইকরিমা ও মুজাহিদ থেকে অনুরূপ বৰ্ণিত হয়েছে। এর মধ্যে বিশেষভাবে পারস্যবাসীরা অর্থাৎ ইরানীরা । সহীহ হাদীস থেকে তা জানা যায়: আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বৰ্ণনা করেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাছে বসা ছিলাম, এমতাবস্থায় সূরা জুমুআ অবতীর্ণ হয়। তিনি আমাদেরকে তা পাঠ করে শুনান। তিনি (وَآخَرِينَ مِنْهُمْ لَمَّا يَلْحَقُوا بِهِمْ) পাঠ করলে আমরা আরয করলামঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ, এরা কারা? তিনি নিরুত্তর রইলেন। দ্বিতীয়বার, তৃতীয়বার প্রশ্ন করার পর তিনি পার্শ্বে উপবিষ্ট সালমান ফারেসী (রা)-এর গায়ে হাত রাখলেন এবং বললেনঃ যদি ঈমান সুরাইয়া নক্ষত্রের সমান উচ্চতায়ও থাকে, তবে তার সম্প্রদায়ের কিছুলোক সেখান থেকেও ঈমানকে নিয়ে আসবে [বুখারী: ৪৮৯৭, ৪৮৯৮, মুসলিম: ২৫৪৬, তিরমিযী: ৩৩১০]। অন্য হাদীস নীচে দেয়া হলো:
হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত: রাছুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন:“দ্বীন যদি সুরাইরা নক্ষত্রের নিকটেও থাকে তাহলেও পারসিয়ানদের কোন একজন অথবা তাদের কোন এক সন্তান তা হাসিল করবে” (মুসলিম হাদীস নং ৪৬১৮, তিরমিযী হাদীস নং ৩১৮৪, ৩২৩২, ৩৮৬৮, মুসনাদে আহমদ হাদীস নং ৭৭৩৫)। অনেকে মনে করেন এই হাদীসসমূহ ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) সম্পর্কে বলা হয়েছে। তবে ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) তাবেয়ী ছিলেন । কাজেই তখনো দ্বীন সুরাইরা নক্ষত্রের নিকটে যাওয়ার অর্থাৎ দ্বীন পৃথিবী থেকে দূরে যাওয়ার পরিস্থিতি হয় নি । কাজেই এসব হাদীস আধুনিক যুগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য মনে হয়। আল্লাহ ভালো জানেন।
See these video:
Thanks
ReplyDeleteEvery worker of Islamic movement should share this article
ReplyDelete