Friday, October 25, 2019

বিপ্লবী ইসলামী সাহিত্য সৃষ্টি: বিশ্বব্যপী ইসলামী পূণর্জাগরণে এর অসাধারণ অবদান

-  শাহাদাতুর   রহমান   সোহেল

জামায়াতে ইসলামী রচিত বিপুল ইসলামী সাহিত্য ইসলামকে পূর্ণাঙ্গ, বাস্তব সম্মত, চিরকালীন ও অত্যাধুনিক এবং আধুনিক সকল অন্যান্য মতবাদ ও জীবন ব্যবস্থার মোকাবেলায় শ্রেষ্ঠ জীবন ব্যবস্থা হিসাবে প্রমান করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের H. Haddad- এর মতে খৃষ্টান চিন্তাবিদ বলেন- thus Islam is posited as the only viable of a better world order., This (Islamic) religious literature is modern in idiom as well content, It takes the twentieth century seriously. Those who denigrate reivalists and relegate them to the Dark ages, the middle Ages or the seventh century are, at best completely, missing the dynamics of the relevance or religion for modern life, or at worst, purposefully ignoring the new developments in the content and meaning of various Islamic doctrins, ( Islamic Awakening in Egypt. Asq, Volume 9 Number 3, Page 255) অর্থাৎ ``এই ভাবে ইসলাম উৎকৃষ্টতর একক এক বিশ্ব ব্যবস্থার আস্থাশীল রূপরেখা হিসাবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। ইসলামী সাহিত্য ভাষা এবং বিষয় সবদিক থেকেই আধুনিক যা নিশ্চিতভাবেই বিশ শতকের। যারা ইসলামী পূণর্জাগরণবাদীদের গাল দেয় এবং তাদেরকে অন্ধকার যুগীয়, মধ্যযুগীয় এবং সপ্তম শতকের মানুষ বলে অভিহিত করে তারা আধুনিক জীবনে ধর্মের সাজুস্যতা ধরতে সম্পূর্ন ব্যর্থ হন অথবা ইসলামের বিভিন্ন মতবাদের অর্থ ও বিষয়ে যে উৎকর্ষতা এসেছে তা উদ্দেশ্যমূলকভাবে উপেক্ষা করেন।'' এখানে আলোচ্য্ বিষয়টিতে জামায়াতে ইসলামী ও ইখওয়ানুল মুসলেমীনেরই অবদান। এক্ষেত্রে জামায়াতে ইসলামীর ভূমিকাই অগ্রগন্য । ১৯৭৪ লন্ডনে আল্লামা মওদূদী রহ: এর সম্বর্ধনার উদ্দেশ্যে আয়োজিত এক বিরাট সুধী সমাবেশে বিখ্যাত ইখওয়ানী চিন্তাবিদ মক্কা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসার মুহাম্মদ কুতুব বলেন "সর্বযুগে ও সকল দেশেই ইসলামী চিন্তাবিদ পয়দা হয়। এযুগেও দুনিয়ায় বেশ কিছু সংখ্যক উল্লেখযোগ্য ইসলামী চিন্তাবিদ রয়েছেন। আপনারা জানেন (একটু মুচকি হেসে) আমিও কিছু চিন্তা করে থাকি। কিন্তু বর্তমান বিশ্বে মাওলানা মওদূদীই শ্রেষ্ঠতম ইসলামী চিন্তাবিদ হিসাবে স্বীকৃত। ইসলামকে এমন সুন্দরভাবে সহজবোধ্য ভাষার সাজিয়ে আর কেউ পরিবেশন করতে সক্ষম হয়নি। এ ব্যপারে তিনি সত্যিই অতুলনীয়।'' জামায়াতে ইসলামী কর্তৃক বর্তমানেও উৎকৃষ্টতম ইসলামী সাহিত্য রচিত হয়েছে এবং হচ্ছে। এসব সাহিত্য বিশ্বব্যপী ইসলামী পূণর্জাগরণে ভূমিকা পালন করেছে এবং করছে। 

Tuesday, October 15, 2019

তিউনিসিয়ার গণঅভ্যুত্থানের নেতা শেখ রাসিদ আল-ঘানুচি, ইসলামপন্থী আন-নাহদা পার্টির বিজয় ও জামায়াতে ইসলামী

-  শাহাদাতুর   রহমান   সোহেল

         তিউনিসিয়ায় গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শুরু  আরব বসন্তের। অন্যান্য দেশে আরব রসন্ত আকাঙ্খিত সফলতা না পেলেও তিউনিসিয়ায় গণতন্ত্র ও ইসলামের পথে অগ্রযাত্রা অব্যহত রয়েছে। এর পিছনে একটি প্রধাণ অবদান ইসলামপন্থী আন-নাহদা নেতা ডঃ রাশিদ আল ঘানুসির। তিনি ইখওয়ানুল মুসলেমীন ও জামায়াতে ইসলামী তথা আল্লামা সাইয়েদ আবুল আলা মওদূদী (রহঃ), শহীদ অধ্যাপক গোলাম আজম, সাইয়েদ কুতুব শহীদ প্রমুখের দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন। উগ্রপন্থা পরিহার, নিয়মতান্ত্রিক মধ্যপন্থায় আন্দোলন পরিচালনা, বিভিন্নপন্থী সংগঠনের সাথে সমঝোতার মাধ্যমে আন্দোলনকে এগিয়ে নেয়া ইতাদি ক্ষেত্রে তিনি এদের থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেছেন। এসবই তিউনিসিয়ার জন্য কল্যাণকর হয়েছে। বাংলাদেশের জামায়াত নেতা কামারুজ্জামান, ব্যরিষ্টার আবদুর রাজ্জাক প্রমুখের সাথে উনার যোগাযোগ ছিল। ২০০১ সালে বিএনপির নেতৃত্বে চারদলের সরকারে জামায়াতে ইসলামীর অংশগ্রহণ নিয়ে তিনি ‘‘অনৈসলামিক সরকারে ইসলামী দলের অংশগ্রহণ” শীর্ষক প্রবন্ধ লিখেন। এই প্রবন্ধের অনুবাদ সাপ্তাহিক সোনার বাংলা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। ২০০২ সালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত কেন্দ্রীয় রুকন (সদস্য) সম্মেলনে তিনি যোগদান করেন। ২০১৯ সালে আন-নাহদা পার্টি নির্বাচনে বিজয় অর্জন করে। তা নিয়ে একটি ভিডিও প্রতিবেদনের লিংক নীচে দেওয়া হলো। আন-নাহদা পার্টির সাথে বর্তমানে তুরস্কের ক্ষমতাসীন রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের নেতৃত্বাধীন একে পার্টির সাথে নিবিড় যোগাযোগ আছে।  

           ২০০২ সালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত কেন্দ্রীয় রুকন (সদস্য) সম্মেলনে আমন্ত্রিত মেহমান হিসেবে বক্তব্য রাখছেন তিউনিসিয়ার গণঅভ্যুত্থানের নেতা শেখ রাসিদ আল-ঘানুচি (Rashid Al-Ghanichi delivering speech at Central Member Conference of Bangladesh Jamaat-e-Islami in 2002):
(একবার ক্লিক করে ভিডিও চালু না হলে ২য় বার ক্লিক করুন)

তিউনিসিয়ার ইসলামী আন্দোলনের নেতা ও রাজনীতিক শেখ রাসিদ আল-ঘানুচি সাইয়্যেদ মওদূদী (রহঃ) সম্পর্কে বলেন:
"আমি সাইয়্যেদ মওদূদীর প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ যে, তার সাহিত্য আমাকে জাহেলিয়াত থেকে মুক্তি দিয়েছে। সাইয়্যেদ মওদূদী, ইমাম হাসান আল বান্না, ইমাম খোমেনী এ শতাব্দীর চিত্র পরিবর্তনে মৌলিক ভূমিকা পালন করেন। মুসলিম উম্মাহর উপর চাপিয়ে দেয়া সেক্যুলারিজমের বিরুদ্ধে তারা সফল সংগ্রাম করেন"।


এখানে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো: ইসলামবিরোধী প্রতিবিপ্লবী কাফের-মুনাফিক শক্তি বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠিত। এঅবস্থায় তারা ইসলামী শক্তির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হবে - এর পতন ঘটাতে চেষ্টা করবে। ইসলামী শক্তিরও পাল্টা শক্তি সঞ্চয় করে এগিয়ে যেতে হবে। এঅবস্থায় উত্তান ও পতন থাকবে। এঅবস্থায় হতাশা প্রকাশ করা দুর্বল মন ও দুর্বল ঈমানের পরিচয়। সাধারণ অবস্থা থেকে শুরু করে ইসলামী শক্তি বিশ্বব্যাপী জাহেলিয়াতের সিংহাসন কাঁপিয়ে দিচ্ছে - এটাই লক্ষণীয় বিষয়। আগামীতে এরাই আধুনিক জাহেলিয়াতের চুড়ান্ত পতন ঘটাবে ইনশা-আল্লাহ 

 


এই ভিডিও প্রতিবেদনটি দেখুন প্লীজ 

তিউনিসিয়ার নির্বাচনে জয়ী ইসলামপন্থী রাশিদ ঘানুচির দল আন নাহদা



Other link:


Popular Posts