Friday, January 20, 2017

ও, আই, সি, গঠন ও জামায়াতে ইসলামীর অবদান


ও. আই. সি. গঠনের ক্ষেত্রে ও জামায়াতে ইসলামী তথা জামায়াত নেতাদের অবদান রয়েছে। জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠাতা যুগশ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদূদী (রহ:) মক্কা মুকার্রামায় ১৯৬২ সালে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ইসলামী সম্মেলনে যোগদান করেন এবং ইসলামী বিশ্বের সাথে সংযোগ সম্পর্ক স্থাপনকারী রাবেতায়ে আলমে ইসলামী নামক সংস্থার প্রতিষ্ঠায় আল্লামা মওদূদীর অবদান অনস্বীকার্য। তিনি একান্ত ভাবে কামনা করতেন যে, বিশ্বের মুসলিম রাষ্ট্রগুলো ইসলামের ভিত্তিতে একটি কমনওয়েলথ গঠিত হোক। এ ম্পর্কে তিনি বার বার সওদী আরবের বাদশাহ শাহ  ফয়সালকে অনুরোধ জানান। অবশেষে ষাটের দশকের শেষাংশে মরক্কোতে অনুষ্ঠিত মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর শীর্ষ সম্মেলনে ইসলামী সেক্রেটারীয়েট সংস্থা গঠন করা হয়।  ১৯৬৯ সালে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে সকল সরকারী প্রতিনিধিদলের মধ্যে ব্যতিক্রম একমাত্র বেসরকারী ব্যক্তিত্ব হিসাবে আল্লামা সাইয়্যেদ আবুল আ'লা মওদূদী (রহঃ) উপস্থিত ছিলেন। কারণ তারই নিরবিচ্ছিন্ন সাধানার ফলশ্রুতিতে মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর এই ঐক্য সংস্থা বাস্তবরূপ লাভ করে। তিনি ওআইসির সামনে কতগুলো অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব রাখেন। তার মধ্যে অন্যতম মুসলমানদের একটি নিজস্ব সংবাদ সরবরাহ সংস্থা এবং একটি সম্মিলিত অস্ত্র নির্মাণ কারখানা প্রতিষ্ঠা। আল্লামা মওদূদীর ক্রমাগত অসুস্থাতার কারণে এসব বিষয়ে তিনি চাপ সৃষ্টি করতে পারেননি এবং বিশেষ করে শাহ ফয়সালের শাহাদাতের পর ঐ সব প্রস্থাব ও পরামর্শগুলো কার্যকর করতে পারেননি। আল্লামা মওদূদী এবং বাদশাহ ফায়সালের মত ব্যক্তিত্বের অভাবে ওআইসির সত্যিকার রূপ প্রকট হয়নি। তথাপি এই ওআইসি মুসলমানদের মধ্যে ইসলামী ঐক্যচেতনাকে জাগ্রত রেখেছে এবং কিছু না কিছু পরিমাণে কাজ ও হচ্ছে। ওআইসি গঠনে জামায়াতে ইসলামীর অবদান অবশ্যই আবিস্মরণীয় ঘটনা। 

Thursday, January 19, 2017

ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠা ও আন্তর্জাতিকভাবে এর বিস্তার এবং জামায়াতে ইসলামী

-  শাহাদাতুর   রহমান   সোহেল   

সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদূদী (রহ:) সহ আরো কয়েকজন ইসলামী চিন্তাবিদদের চিন্তাধারা সমন্বয়ে গঠিত ইসলামী ব্যাংকের পরিকল্পনা ওআইসিতে গৃহীত হয়। ১৯৭৪ সালে জেদ্দায় অনুষ্ঠিত ওআইসি সদস্যভুক্ত মুসলিম রাষ্ট্রসমূহের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলনে মুসলিম রাষ্ট্র সমূহের সক্রিয় সহযোগিতায় ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক নামের একটি আন্তর্জাতিক ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ১৯৭৫ সালের জেদ্দাকে কেন্দ্র করে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে সর্বপ্রথম ইসলমী উন্নয়ন ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর পূর্বেই সোশ্যাল ব্যাংক নামে মিশরে একটি শক্তিশালী ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর মুসলিম বিশ্বে ব্যাপকভাবে ইসলামী ব্যাাংক প্রতিষ্ঠিত হতে থাকে। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, দুবাই, কুয়েত, সৌদী আরব প্রভৃতি দেশে বেশ কয়েকটি ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশও ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করার জন্য এগিয়ে আসে। বাংলাদেশসহ বিভিন্ন মুসলিম দেশে ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে জামায়াতে ইসলামী অগ্রনী ভূমিকা পালন করে। 
                                                        See this video:
(একবার ক্লিক করে ভিডিও চালু না হলে ২য় বার ক্লিক করুন)

ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় জামায়াতে ইসলামীর অবদান
বাংলাদেশের আর্থিক খাতে একটি বড় পরিবর্তন আসে ১৯৮৩ সালে, যখন ইসলামী শরিয়াহভিত্তিক প্রথম ব্যাংক - ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড প্রতিষ্ঠিত হয়। এ ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে সুদমুক্ত, অংশীদারিত্বভিত্তিক একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালুর পথ প্রশস্ত হয়। ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠার এই উদ্যোগের পেছনে জামায়াতে ইসলামীর অবদান ছিল অনস্বীকার্য, যা আদর্শিক চিন্তা, সংগঠনিক প্রচেষ্টা, নেতৃত্ব ও আন্তর্জাতিক সমর্থনের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হয়।

আদর্শিক প্রেক্ষাপট
জামায়াতে ইসলামীর মূল রাজনৈতিক ও আদর্শিক লক্ষ্য ইসলামী জীবনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, যার অন্যতম স্তম্ভ সুদবিহীন অর্থনীতি। সুদভিত্তিক ব্যাংকিং ইসলামী বিধানের পরিপন্থী। এই আদর্শ থেকেই তারা ইসলামী ব্যাংকিং চালুর জন্য সচেতনতা সৃষ্টি ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

নেতৃত্ব ও প্রতিষ্ঠান গঠনে ভূমিকা
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড-এর প্রতিষ্ঠায় সরাসরি অংশ নেন জামায়াতের প্রভাবশালী নেতা মীর কাসেম আলী, যিনি ব্যাংকটির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি বিদেশি বিনিয়োগ সংগ্রহ, ব্যাংকের নীতিমালা প্রণয়ন এবং পরিচালনা পর্ষদ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এ ছাড়া জামায়াত-ঘনিষ্ঠ আরও অনেক অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও পেশাজীবী ব্যাংকের সাথে যুক্ত ছিলেন।

আন্তর্জাতিক সংযোগ ও পৃষ্ঠপোষকতা
জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন ইসলামী আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করেন। বিশেষ করে সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার ও অন্যান্য মুসলিম দেশের ইসলামী অর্থনীতিবিদ ও বিনিয়োগকারীদের সমর্থন আদায়ে তারা সক্রিয় ছিলেন। ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক ও আল রাজি ব্যাংক-এর মতো প্রতিষ্ঠান ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড-এ বিনিয়োগ করে।

মানবসম্পদ ও আদর্শিক কর্মী
ব্যাংকটি পরিচালনার ক্ষেত্রে জামায়াতের আদর্শিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ দলের অন্যান্য সহযোগী সংগঠন থেকে আসা সদস্যরা ব্যাংকে নিয়োজিত হয়ে এর প্রসারে কার্যকর ভূমিকা রাখেন। ফলে ব্যাংকটি শুধু একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান নয়, বরং একটি আদর্শিক মিশন হিসেবে পরিচালিত হতো।

সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রভাব
জামায়াতে ইসলামী ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে শুধু অর্থনৈতিক মুক্তির পথ হিসেবে নয়, বরং সমাজে ন্যায়ভিত্তিক একটি অর্থব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যম হিসেবেও উপস্থাপন করেছিল। তাদের এই প্রচেষ্টার ফলেই বাংলাদেশের আর্থিক খাতে ইসলামী ব্যাংকিং একটি গ্রহণযোগ্য ও জনপ্রিয় ধারায় পরিণত হয়েছে।

উপসংহার
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড-এর প্রতিষ্ঠা একটি ঐতিহাসিক ঘটনা, যার মাধ্যমে দেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং চালু হয়। এই উদ্যোগের পেছনে জামায়াতে ইসলামীর আদর্শিক প্রভাব, সংগঠনিক দক্ষতা এবং নেতৃত্বের অবদান ছিল সুস্পষ্ট ও গুরুত্বপূর্ণ। আজ বাংলাদেশে যে ইসলামী ব্যাংকিং একটি শক্তিশালী খাত হিসেবে বিকাশ লাভ করেছে, তার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনে জামায়াতে ইসলামীর ভূমিকা অনস্বীকার্য।
 
বি. দ্র. : ২০১৫ সালে নানা অভিযোগ তুলে আওয়ামী সরকার জামায়াত ইসলামীর কাছ থেকে ব্যাংকটির মালিকানা ছিনিয়ে নেয়। এরপর ব্যাংকটির পরিচালনায় পরিবর্তন আনা হয় এবং জামায়াতে ইসলামীর প্রভাব হ্রাস পায়। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান ও বিপ্লবে আওয়ামী অবৈধ দখলদার সরকার বিদায় হওয়ার পর পুনরায় ব্যাংকটিতে জামায়াতে ইসলামীর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়। এর কিছু পরে (ডিসেম্বর ২০২৪) বিএনপির এক নেতার সমালোচনার জবাবে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ইসলামী ব্যাংক দখল করেনি জামায়াতে ইসলামী, ডাকাতের বেশে নতুন ডাকাতরা ৫ আগস্টের পর ব্যাংক দখল করতে গিয়েছিল। তারা পালিয়ে এসেছে। জামায়াতে ইসলামী ব্যাংক দখল করেনি, বরং এই ব্যাংক তার মায়ের কোলে ফিরে এসেছে।

Wednesday, January 18, 2017

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে উদ্দেশ্য করে তুরস্কের প্রখ্যাত আলেম নুরুদ্দিন ইলদিজের লেখা একটি চিঠি।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে উদ্দেশ্য করে তুরস্কের প্রখ্যাত আলেম, বহু গ্রন্থ প্রণেতা নুরুদ্দিন ইলদিজের লেখা একটি চিঠি: 
এই মহাবিশ্বের মালিক, মহা শক্তিধর মহান আল্লাহ তালার সালাম বর্ষিত হোক তোমাদের উপর, হে এশিয়ার বীর সেনানীগণ।তোমাদের অন্তর আজ হযরত (রা) হামযা (রা) , হযরত সুমাইয়া (রা) , হযরত ইয়াসসির (রা) , মিহরাবে শহীদ হওয়া হযরত উমার (রা)এর ঈমানের মত ঈমানে পরিপূর্ণ হয়েছে সালাম তোমাদের সেই প্রশান্ত আত্মার প্রতি।
আজ তোমরা, উহুদের সাহসী সেই যোদ্ধাদের প্রতিনিধি, আজ যারা তোমাদেরকে নির্মূল করতে চায় তারা জানে না যে তোমাদের এই রক্ত তোমাদের উত্তরসূরিদেরকে জাগিয়ে রাখবে যুগের পর যুগ , শতাব্দীর পর শতাব্দী। তারা মৃত্যুবরণ করবে, তাদের নিশানা মুছে যাবে, তাদের নাম মানব ইতিহাসে খুজেও পাওয়া যাবে না কিন্তু পৃথিবী যতদিন থাকবে ততদিন এই মানবতা তোমাদেরকে স্মরণ করবে, তোমাদের এই ঢেলে দেওয়া রক্ত দিয়ে লিখব নতুুরিদেরকে, ভাঙ্গা কেল্লায় উঠবে ইসলামের বিজয় পতাকা, তোমাদের দেখে আসবে আর লাখো মুজাহিদ। তোমারা মানুষের অন্তরে, ফেরেশতাদের দলিলে বেঁচে থাকবে অনন্তকাল। ওরা কিয়ামাতের দিন নিকৃষ্ট হয়ে উঠবে আর তোমরা শহীদ হিসাবে বীরের বেশে কিয়ামতের দিন জেগে উঠবে।

হে এই সময়ের হামযাগন;
আব্দুল কাদের মোল্লা
মুহাম্মাদ কামারুযযামান
আলী আহসান মুজাহিদ
গোলাম আযম
আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী
মৌলানা মতিউর রহমান নিজামী .................
আপনারা মৃত্যুকে হত্যা করেছেন। এই উম্মত আপনাদেরকে কক্ষনো ভুলে যাবে না। আল্লাহ তায়ালা আপনাদের শাহাদাতকে কবুল করুন। পরবর্তী বংশধরদের মাঝে আপনাদের মর্যাদা বুলন্দ করুন।
আমরা শারীরিকভাবে হয়ত আপনাদের পাশে দাঁড়াতে পারিনি, কিন্তু আমরা আপনাদেরকে ভালবাসি, অন্তর থেকে মহব্বত করি, আমরা আপাদেরকে দেখে ঈর্ষান্বিত হই। আমরা আপনাদেরকে আল্লাহ তালার কাছে সঁপে দিলাম। আল্লাহ তালার কাছে দোয়া করি আল্লাহ তায়ালা আপনাদেরকে যেন হামযা (রা) এর সাথে রাখেন সকল শহীদদেরকে এক সাথে রাখেন।

আল্লাহ আপনাদের পথ খুলে দিন। আল্লাহ আপনাদের মর্যাদাকে আকাশের সমান বুলন্দ করুন। ফেরেশতাদের মত ডানা মেলে ঘুরে বেড়াও আরশে আযীমে। আমাদেরকেও সাথে রাখতে ভুলবেন না, আমাদেরকেও নিয়ে যান আপনাদের কাছে ।
তোমাদের উপর সালাম হে এশিয়ার বীর সেনানীরা।
হে উম্মতের সেনাপতিগণ, অগ্রগামী বীর সেনানীরা সালাম তোমাদের উপর সালাম।

Friday, January 13, 2017

আমি জামায়াতে ইসলামী না করেও কেন তাদের প্রতি মুগ্ধ!! - অধ্যাপক আনিসুর রহমান ||



বাংলাদেশের সমসাময়িক রাজনীতিতে সবচেয়ে দ্রুত জনপ্রিয় দলে পরিনত হচ্ছে জামায়াতে ইসলামী!কিন্তু কেন? ভার্সিটিতে যান,শিবিরের সহযোগিতা পাবেন।ইসলামী ব্যাংকে যান আপনাকে তারা পরিপূর্ণ হেল্প করবে। রাস্তায় বিপদে পড়ুন তারা আপনাকে উদ্ধার করবে। আপনার প্রিয়জনের মূমুর্ষ অবস্থায় তারা রক্ত দেবে।বন্যার্তদের তারা ত্রাণ দেবে। যেকোন মানবিক ইস্যু নিয়ে তারা রাজপথ মাতাবে।

.
শুধু আপনার কথাগুলি তাদের বলেই দেখুন।কখনো তার বিনিময়ে অর্থ নেবেনা। শুধু আপনাকে আল্লাহর রাস্তার দাওয়াত দিয়ে যাবে। কিন্তু তারা রাজাকার, তারা সন্ত্রাসী। বাংলাদেশে যত অপকর্ম হয় সবকিছুর নাটের গুরু তারাই।এই কথাগুলো তাদেরই শুনতে হবে।যতক্ষণ আপনি সত্যের সন্ধান না করবেন। সবাই ভাল করেই জানেন, কেন প্রগতিশীলরা জামায়াতকে অপছন্দ করে? জামায়াত এককভাবে রাষ্ট্র পরিচালনায় গেলে মাত্র ৫ বছরে দেশ থেকে দূর্নীতি, অশ্লীলতা ,ভেদাভেদ ইত্যাদি বিতাড়িত হবে।
.
কিন্তু আমাদের শত্রু প্রতিবেশী রাষ্ট্রটি এটা হতে দেবে না।তারা চায় তাদের চারপাশের দেশগুলোতে সবসময় গন্ডগোল লেগে থাকুক, আর মুরব্বীয়ানা দেখিয়ে তারা তার ফায়দা নেবে।আপনি আপনার এলাকার জামায়াত কর্মীকে কখনো অন্যায় করতে পেয়েছেন? কেন আপনি প্রচার যন্ত্রে বিভ্রান্ত হয়ে তাদেরকে খারাপ বলে থাকেন? আপনার পরিবারে যা কিছু হোক না কেন যৌথ পরিবারটি ভেঙ্গে যেতে দিতে আপনার মন চাইবে না।আপনার প্রতিবেশী কিন্তু ভাঙ্গনে ইন্ধন যোগাবে। আপনার ঘরের একজন সদস্যকে আর্থিক সাহায্য দিয়ে সে এটা করবে।হয়তো পরবর্তীতে আপনি এটা অনুধাবন করতে পারবেন।
.
ভারত ঠিক একই কাজটি করছে ৭১'এ।আর তখনকার দেশপ্রেমিক জামায়াতকে এখন বহন করতে হচ্ছে রাজাকার উপাধী! আপনার নিজের ব্যস্ততায় আপনি দল হিসেবে জামায়াতের ভাল কর্মকান্ডের খোজঁ নেন না।কিন্তু না বুঝেই অপবাদ ঠিকই দেন,এটা কি হুজুগে হলোনা? বেশকিছুদিন আগে ছাত্রদের অধিকার আদায়ে ছাত্রশিবির আন্দোলন করেছে। শিক্ষা খাতে ভ্যাট বাতিলের জন্যে সে আন্দোলন। আপনার মূল্যায়ন কি? আপনার পছন্দের সংগঠনটি কি বন্যার্তদের পাশে দাড়িয়েছে? মানুষকে অস্বাভাবিকভাবে যে হত্যা করা হচ্ছে, কে তার বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছে? এমন অনেক না বলা উত্তম কাজের জন্যে আপনি কি কখনো জামাত শিবিরকে বাহবা দিয়েছেন? অথচ, যেই অপবাদটিকে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আপনার এত ক্রোধ, তা শুধুমাত্র একটি প্রোপাগান্ডা ছাড়া আর কিছুই না আন্তর্জাতিক আদালত নয়, আপনার বিবেকের আদালতে বিচার করুন!!

Popular Posts