Thursday, November 22, 2018

জামায়াতনেতা কামারুজ্জামান ১৯৭১ সালে ১৭ বছর বয়সে সুপারম্যান ছিলেন!!!!!!!!!


আমার দেখা মীর কাসেম আলী -ব্যারিষ্টার আব্দুর রাজ্জাক


আমার দেখা মীর কাসেম আলী

-ব্যারিষ্টার আব্দুর রাজ্জাক

১. ১৪৩৭ হিজরির জ্বিলহজ্জ মাসে (৩রা সেপ্টেম্বর ২০১৬) মীর কাশেম আলী ফাঁসীর কাষ্টে আরহোন করেন। জ্বিলহজ্জ মাস একটি পবিত্র মাস। সূরা ফজরের দ্বিতিয় আয়াতে এই মাসের ১ম দশ দিনের কসম খেয়েছেন। রাসূল সা: এর আগমনের পূর্বে অসভ্য আরব বেদুইনরাও এই মাসে যুদ্ধ বিগ্রহ থেকে বিরত থাকত।

২. ২০১২ সালের ১৭ই জুনের বিকাল। চেম্বারে বসে কাজ করছি। হঠাৎ করে মীর কাশেম আলীর ফোন এল। পুলিশ তার দিগন্ত টেলিভিশনের অফিস ঘেরাও করে ফেলেছে। যেকোন মুহুর্তে তিনি গ্রেফতার হতে পারেন। কন্ঠ স্বাভাবিক। এই অনিশ্চয়তা ও উৎকন্ঠার মাঝেও তিনি দুপুরের খাবারের পর বিশ্রাম সেরে নিয়েছেন। তিনি যে কত প্রশান্ত হৃদয়ের ( সূরা আল ফজর, ৮৯:২৭) এবং শক্তিশালী মনের মানুষ ছিলেন, এটা তার প্রমান।

৩. বিভিন্ন পর্যায়ের গোয়েন্দা সংস্থার লোকদের সাথে তার বেশ যোগাযোগ ছিল। দুই একজন মন্ত্রীর সাথেও তার সম্পর্ক ছিল। বিশেষ করে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন তাকে আশ্বস্ত করেছিল তার কোন সমস্যা হবেনা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যা হবার তাই হল।

৪. তিনি খুব আশাবাদী ব্যাক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন। ট্রাইব্যুনালে তার যখন বিচার চলছিল, তখন আমাকে একাধিকবার বলেছেন: রাজনীতিবিদদের জন্য জেল জুলুম তো অপরিহার্য। খালাস পেয়ে বেরিয়ে আসবেন এমন একটা দৃঢ় বিশ্বাস তার ছিল।

৫. তিনি যথেষ্ট কর্মক্ষম ব্যাক্তি ছিলেন। তার কর্ম দক্ষতার সাক্ষর তিনি রেখে গেছেন ইসলামী ব্যাংক, ইবনে সিনা, রাবেতা-ই-আলম আল-ইসলামী সহ অন্যন্ন সংস্থার সাথে তার সম্পৃক্ততা এবং সর্বপরি দৈনিক নয়া দিগন্ত ও দিগন্ত টেলিভিশন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।

৬. খুব সম্ভবত ৯০ এর দশকের শেষের দিকে একবার তার কর্মকান্ড নিয়ে আলাপের জন্য সময় চাইলাম। তিনি হোটেল সোনারগায়ে লান্চের দাওয়াত দিলেন। আন্দোলনের ভবিষ্যত নিয়ে তার সাথে বিস্তারিত আলাপ হল। মহিলাদের কাজের একটি ফাইন টিউনিং হওয়া দরকার বলে মন্তব্য করলেন। রোকনিয়াতের জন্য নেকাব বাধ্যতামুলক হওয়া বান্চনিয় নয়। অন্যান্ন শর্ত পূরন কারী হিজাবী মহিলাদেরকেও রোকন করা উচিৎ। ঐদিনের আলোচনায় তার একটি কথা আমার মনে খুবই দাগ কেটে ছিল: “ আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সাথে আমার একটি চুক্তি হয়েছে; তিনি আমাকে আমার কোন প্রজেক্টে অকৃতকার্য করবেননা।” এই উক্তি তার সীমাহীন আত্ববিশ্বাসের পরিচয় বহন করে। দৈনিক নয়াদিগন্ত এবং দিগন্ত টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠা তার উত্তম স্বাক্ষর।

৭. তার কর্মক্ষমতায় আমি খুব মুগ্ধ ছিলাম। তিনি সংগঠনের অনেকটা প্রান্তসীমায় (periphery) কাজ করছিলেন। তাই তাকে যাতে সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল করা হয় এজন্য আমি তৎকালীন আমীরে জামায়াত এবং সেক্রেটারী জেনারেলের কাছে ব্যাক্তিগত আলোচনায় জোর দাবী জানিয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত কোন কারনে তা হয়নি। ২০০৩ সালে আমাকেই প্রথমবারের মত সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল করা হয়। যদিও জামায়াতের মত এতবড় সংগঠনের এ দায়িত্বপালনের যোগ্য আমি ছিলাম না।

৮. পারিবারিক পর্যায়ে তার সাথে আমার খুব একটা উঠাবসা ছিলনা। একবার ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য তিনি সস্ত্রীক আমার বাসায় এসেছিলেন। যতদূর মনে পড়ছে ভাবী খন্দকার আয়েশা খাতুনের সাথে আমার কোন কথা হয়নি। তার সাথে আমার প্রথম কথা হল আমাদের সকলের প্রিয় আরমান অপহ্রত হওয়ার পর। এরপর তারসাথে বেশ কয়েকবার আমার টেলিফোনে আলাপ হয়েছে। সব সময় আমি তাকে সাহসী, ধৈয্যশীলা এবং আল্লাহর রহমতের উপর ভরসাকারীনী হিসাবেই পেয়েছি। আল্লাহ তার থেকে অনেক কঠিন পরিক্ষা নিচ্ছেন। এ পর্যন্ত জামায়াত নেতৃবৃন্দ যারাই ফাঁসীর কাষ্ঠে জীবন দিয়েছেন তাদের কারও পরিবারকে এরূপ অগ্নিপরিক্ষার সম্মুখিন হতে হয়নি। মীর কাশেম আলীর শাহাদাতের ৩ সপ্তাহ পূর্বে তার ২য় ছেলে আরমান অপহৃত হয় । নিরাপত্তাজনীত কারনে তার বড়ছেলে তখন দেশের বাইরে। দুই ছেলের অবর্তমানে স্বামীর শাহাদাত যে কী বিষম যাতনার ব্যাপার খন্দকার আয়েশার মত মায়েরাই শুধু তা অনুভব করতে পারেন।

৯. আরমানের মত সহজ সরল সজ্জন সদালাপী যুবক আজকের সমাজে পাওয়া খুবই দুস্কর। সে শুরু থেকেই আমার জুনিয়র ছিল। ব্যারিষ্টার হয়ে আসার পর থেকেই আমার চেম্বারে তার শিক্ষানবীশের কাজ শুরু হয়। তারপর হাইকোর্টে এনরোলমেন্ট। কিন্তু আইনপেশার চাইতে তার কূটনৈতিক কাজের প্রতি ঝোক ছিল বেশী। ঢাকায় ডিপ্লম্যাটিক ফাংশন গুলোতে আমি প্রায়ই তাকে সাথে নিয়ে যেতাম। আমেরিকান দুতাবাস, বৃটিশ হাইকমিশন, কানাডিয়ান হাইকমিশন, চীনা দুতাবাস, রাশিয়ান দুতাবাসসহ প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের অনেক দুতাবাসের প্রোগ্রামেই সে আমার সাথে থাকত। খুব মনোযোগ সহকারে প্রত্যেকটি মিটিংয়ে নোট নিত এবং কূটনৈতিক শিষ্টাচারও সে বেশ রপ্ত করতে পেরেছিল। আমি ঢাকা ত্যাগ করার পর থেকে বেশ কয়েকটি দুতাবাস তার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছিল।

১০. ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাকে সাথে নিয়ে বৃটেন এবং আমেরিকা সফর করি। বৃটিশ ফরেন এবং কমনওয়েলথ অফিস, আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্ট, সিনেট, হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস এবং সুশীল সমাজের সাথে আমাদের অনেক বৈঠক হয়। ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের অফিস হচ্ছে হোয়াইট হাউসের ভিতরে। নিরাপত্তাজনীত কারনে ইতিপূর্বে আমার সাথে ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের কর্মকর্তাদের সব বৈঠক হোয়াইট হাউজের আশেপাশে কোন একটি রেস্তোরাতেই হয়েছে। এইবার ব্যাতিক্রম হল। হোয়াইট হাউসের ভিতরেই আমাদের মিটিং হল কারন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আমেরিকার বাহিরে সফররত ছিলেন। তাই নিরাপত্তার কোন ঝামেলা ছিল না। তাছাড়া ন্যাশনাল সিকিউরিটির যে ভদ্রলোক সাউথ এশিয়ার দায়িত্বে ছিলেন, তিনি আমার পূর্ব পরিচিত। আরমান এইসব বৈঠকগুলো খুবই উপভোগ করেছে।

১১. সে ছিল খুব ভাল একজন সফর সঙ্গী। ঐ বছর আমেরিকায় দীর্ঘ সফরে যাওয়ার আগে তাকে নিয়ে দুদিনের জন্য ইংলিশ চ্যানেলের পাশে অবস্থিত ছোট্ট শহর ব্রাইটনে বেড়াতে গেলাম। ইসলামী আন্দোলনের এক নিবেদিত প্রান কর্মী আমরা ব্রাইটন যাব শুনে নিজে বড়শী দিয়ে ইংলিশ চ্যানেল থেকে মাছ ধরে সে মাছের তরকারী আমাদেরকে পরিবেশন করেছে। আরমান আমাকে বলেছিল, “ স্যার দেখেন এরা কতটা ডেডিকেটেড”।

১২. ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে আমার নির্বাসিত জীবন শুরু হলেও আরমানের সাথে টেলিফোন এবং স্কাইপের মাধ্যমে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। ২০১৪ সালেও আমেরিকায় কুটনৈতিক সফরে সে আমার সাথী ছিল। ২০১৫ সালে ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত সেন্টার ফর স্ট্রাটেজিক এন্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের এক ডিপ্লমেটিক ট্রেনিংয়ে তার যাওয়ার ব্যাবস্থা হয়। ফেরার পথে সে কয়েকদিন লন্ডনে যাত্রা বিরতি করে। এ হচ্ছে আরমানের সাথে আমার শেষ দেখা।

১৩. ২০১৬ সালের জুন মাসে আমার আমেরিকা সফরের সময় তাকে সাথে নিয়ে যেতে চাইলাম। তখন মীর কাশেম আলীর বিচারের শেষ পর্যায়। ২০১৬ সালের মার্চ মাসে সুপ্রিম কোর্ট তার মৃত্যুদন্ড বহাল রাখে। ইতিপূর্বে ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদন্ড দেয় ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে। শুধু বাকি ছিল সুপ্রিম কোর্টের রিভিউ। প্রথমে মীর কাশেম আলী তাকে সপ্তাহ দুয়েকের জন্য দেশের বাইরে যাবার অনুমতি দিলেন। কিন্তু পরে কি যেন এক স্বপ্ন দেখে মত পরিবর্তন করলেন। আরমানের আর বাহিরে আসা হলনা। ঐ সফরে আমি তার অভাব খুবই অনুভব করেছি। এটা আমার দূর্ভাগ্য যে, মীর কাশেম আলীর বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের শুনানী ছাড়া ট্রাইব্যুনাল এবং সুপ্রিম কোর্টে তাকে ডিফেন্ড করার সুযোগ থেকে আমি বন্চিত হয়েছি।

১৪. ৯ ই আগষ্ট ২০১৬ সালে গুম হওয়ার দুই একদিন পূর্বে আমার সাথে আরমানের দীর্ঘ আলাপ হয়। একদিকে পিতার মামলা, অন্যদিকে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে সে ছিল খুবই উদবীগ্ন। আমাকে জিগ্গাসা করল বাসায় থাকবে কিনা? আমি তার বাসায় থাকার পক্ষে মত দিলাম। কারন এই সহজ সরল নিরপরাধ ছেলেটিকে কেও গুম করে নিবে তা চিন্তাও করতে পারিনি। আরমানের কোন দোষ ছিলনা। তার কোন অপরাধ ছিল না। সে কোন অভিযুক্ত ব্যাক্তি ছিল না। তবে তার ‘অপরাধ” ছিল একটাই, সে মীর কাশেম আলীর ছেলে। দেশে বিদেশে তাকে নিয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছে। তাকে নিয়ে অনেক ক্যাম্পেইন হয়েছে। নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকা তার নামে সম্পাদকীয় লিখেছে। ইংলিশ বার সহ সারা দুনিয়ার বিভিন্ন বার এসোসিয়েশন তার মুক্তির দাবী তুলেছে। জাতি সংঘের বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে তার গুম হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে মুক্তি দাবী করা হয়েছে। লন্ডন থেকে প্রকাশিত ক্রিমিনাল বার কোয়াটার্লির এবছরের আগষ্ট সংখ্যায় কেভিন ডেন্ট নামিয়ো এক ব্যারিষ্টার আরমানের মুক্তি দাবী করেছেন। কিন্তু প্রতিশোধের দেশ বাংলাদেশের কানে এসব আবেদন নিবেদন, অভিযোগ অনুযোগ কিছুই যে পৌছায় না। আরমানকে কে বা কার গুম করেছে তা আমরা জানিনা। গুমকারীদের প্রতি তার স্ত্রী, দুই অবুঝ সন্তান, পরিবার-পরিজন আত্নীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব এবং আমাদের সকলের ক্ষোভ থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কোরআনের পাতায় পাতায় আল্লাহ তায়ালা মুমিনদেরকে ধৈয্য ধারন করতে বলেছেন। “তাদের বলে দাও: আল্লাহ আমাদের জন্য যা লিখে দিয়েছেন, তাছাড়া আর কোন ক্ষতিই আমাদের স্পর্শ করবেনা, আর আল্লাই আমাদের অভিভাবক”। (সূরা তাওবা, ৯:৫১)। “ আর আমরা আল্লাহরই উপর ভরসা করবনা কেন, যখন তিনি আমাদেরকে জীবনের পথে পথ দেখিয়েছেন? তোমরা আমাদের কে যে যন্ত্রনা দিচ্ছ তার উপর আমরা সবর করব, এবং ভরসাকারীদের ভরসা শুধুমাত্র আল্লাহর উপরই হওয়া উচিত।” (সূরা ইবরাহীম, ১৪:১২)।

১৫. গত ইদুল ফিতরের ছুটিতে উত্তর আয়ারল্যান্ডে গিয়েছিলাম কিছু জিনিস সচক্ষে দেখার জন্য। বেলফাস্ট এবং লন্ডন ডেইরীর মত শহরের মাঝে মাঝে বিরাট বিরাট উচু দেয়াল দেয়া হয়েছিল যা এখনও বিদ্যমান আছে। ক্যাথলিক এবং প্রোটেষ্টান্ট এ দুই গ্রুপের মাঝে সংঘাত এড়ানোর জন্য। অনেকটা যেন অধুনালুপ্ত বার্লিন ওয়ালের মত। ক্যাথলিকরা উত্তর আয়ারল্যান্ডকে রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডের সাথে সংযুক্তির পক্ষে, আর প্রটেষ্ট্যান্টরা বৃটেনের অংশ হিসাবেই থাকতে চায়। কিন্তু সেখানেও শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যে আইরিশ রিপাবলিকান আর্মি (আই আর এ) রাজপরিবারের অত্যন্ত প্রভাবশালী সদস্য এবং অবিভক্ত ভারতের সর্বশেষ ভাইসরয় লর্ড মাউন্টব্যাটন কে হত্যা করেছিল, শান্তি প্রতিষ্ঠার পর সেই আই আর এ নেতা মার্টিন মেগেনেসের সাথে (যিনি কিছুদিন পূর্বে মারা গেছেন) রানী এলিজাবেথ হাত মিলাতেও কুন্ঠাবোধ করেননি। বাংলাদেশে ক্যাথলিক এবং প্রোটেষ্ট্যান্টদের মত কোন ধর্মীয় বিভক্তি নেই। কোন জাতিগত ভেদাভেদও নেই। সবাই একই বাংলার সন্তান। তারপরও শুধুমাত্র রাজনৈতিক এই বিভাজন আর কতদিন চলবে? কবে অবসান হবে এই হানাহানি এই হত্যা এই প্রতিশোধ এবং এই গুমের রাজনীতি!

১৬. মীর কাশেম আলী আর আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন না। আজকের এই দিনে রাব্বুল আলামিনের দরবারে তার মাগফেরাত কামনা করছি, তাকে জান্নাতুল ফিরদাউসে স্থান দেবার জন্য মোনাজাত করছি। আর পথপানে চেয়ে আছি কখন আমাদের প্রিয় আরমান আমাদের কাছে আবার ফিরে আসবে। ফিরে সে আসবেই, ইনশাআল্লাহ। আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হতে নেই, (সূরা যুমার, ৩৯:৫৩)। হযরত ইউসূফ আ: এর নিখোজ হওয়া এবং তার ছোট ভাই বিনইয়ামিনকে মিশরের বাদশার দরবারে আটক হওয়ার পর, হযরত ইয়াকুব আ: তার ছেলেদেরকে দুই জনের ব্যাপার অনুসন্ধান করতে বলে এই হেদায়াত করেছিলেন যে, “শুধুমাত্র কাফেররা ছাড়া আর কেও আল্লাহ তায়ালার রহমত থেকে নিরাশ হয় না” (সূরা ইউসূফ, ১২:৮৭)। আল্লাহ তায়ালা প্রায় ৪০ বছর পর হযরত ইউসূফকে তার পিতা হযরত ইয়াকুবের কাছে ফিরিয়ে এনেছিলেন।

Wednesday, November 7, 2018

যে ৩টি দল বর্তমানে ইসলামকে ধ্বংস করছে না জানলে জেনে নিন। Sayed Anwer Hossain Taher Zabiry



চট্টগ্রাম আন্দরকিল্লাহ শাহী জামে মসজিদের খতিব কি সত্যিই আওলাদে রাসুল ???

Popular Posts