রামু সেনানিবাস কক্সবাজারের রামু উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নবগঠিত একটি সেনানিবাস।এটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০মপদাতিক ডিভিশনের সদর দপ্তর।মিয়ানমার এর সাথে সীমান্ত বিরোধ,রোহিঙ্গা সমস্যা,২০০৮ সালের সমুদ্রবিরোধ সহ নানা কারনে কক্সবাজার এবং রামুর নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষায় রামু সেনানিবাস প্রতিষ্ঠা করা হয়। রামুতে অবস্থিত সেনানিবাসটির মোট আয়তন ১৭৮৮.৯৮ একর(এক হাজার সাতশত আটাশি দশমিক আটানব্বই একর)।
বর্তমান রোহিঙ্গা সমস্যায় রামু সেনানিবাস কক্সবাজারের নিরাপত্তা রক্ষায় অন্যতম চাবিকাঠি হিসেবে কাজ করেছে।রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা,ক্রান বিতরন,রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শান্তিশৃঙ্খলা বিধানে রামু সেনানিবাস এবং সেনাবাহিনীর অবদান অনস্বীকার্য। ইয়াবা সমস্যা,চোরাচালান রোধ,মিয়ানমারের স্পাইদের আটক করা সহ নানা ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর রয়েছে ঈর্ষণীয় সাফল্য।বর্তমানে রামু সেনানিবাসে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর,বোটানিক্যাল গার্ডেন,রামু ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল,ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজ,জরুরি অবস্থায় বিমান উঠানামার জন্য ক্যান্টনমেন্ট এর রাস্তাসমূহকে রানওয়ে হিসেবে ব্যবহারের সুবিধা,অফিসার্স মেস,অত্যাধুনিক অগ্নি-নির্বাপন ব্যবস্থা,সামরিক কর্মকর্তাদের জন্য আবাসস্থল,কৃত্রিম বন,হেলিপ্যড,এফ এম-৯০,স্যাম সিস্টেম,এন্টি এয়ারক্রাফট গান,ড্রোন সিস্টেম,আর্টিলারি সিস্টেম,টাইপ ৫৯ বিডি ট্যাংক,এপিসি,নিজস্ব ফাইবার অপটিক এবং স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন ব্যবস্থা,বিদ্যুৎ ব্যবস্থা,ট্রাস্ট ব্যাংক শাখা,এটিএম বুথ এবং ইন্টালিজেন্স উইং।
রামু ক্যান্টনমেন্ট এর একটি অংশের মূল ফটক এ রয়েছে তিনটি করে মোট ছয়টি সোনালি তীরের ভাস্কর্য।এর অপর নাম “Shield Gate”.. যা মুলত সেনাবাহিনীর যুদ্ধের মনোবল নির্দেশ করে।প্রাচীন আমল থেকেই Shield বা তীর আক্রমন এবং রক্ষণশীলতার প্রতীক।অপর ফটকের সামনের অংশে রয়েছে হাতির দু’টি সাদা দাতের স্তম্ভ।এর নামকরণ করা হয়েছে “Southern Gate”..যা মুলত দক্ষিণাচলের নিরাপত্তা রক্ষায় ১০ম পদাতিক ডিভিশনের ফরমেশন,সক্ষমতা এবং মনোবল নির্দেশ করে।হাতি ডাঙায় থাকা সবচাইতে বৃহৎ এবং শক্তিশালী প্রানী,তারা দল বেধে থাকে,দলের কেউ আক্রান্ত হলে হামলা করে।জংগলের কেউ হাতিকে ঘাটানোর সাহস করেনা।হাতির দাত মহামুল্যবান বস্তু এবং তা গৌরবের প্রতীক।অপরিসীম শক্তির অধিকারী এই প্রানীর কাছে বনের সবাই মাথা নত করে।এছাড়া হাতি দ্বারা মেইন ব্যাটেল ট্যাংক এম্বিটি-২০০০ ও নির্দেশ করে।কারন তা সেনাবাহিনীর গর্বের প্রতীক।সে হিসেবে রামুতে কিছু এম্বিটি-২০০০ ও থাকতে পারে।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীসহ সারাদেশে বর্ণাঢ্য র্যালী, রক্তদান কর্মসূচি, ফ্রি ব্লাড গ্রুপিংসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
রাজধানীতে র্যালী কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে শিবির নেতৃবৃন্দ বলেন, বিজয়ের এত বছর পরও দেশ এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। দেশে যখন ৪৮তম বিজয় দিবস পালিত হচ্ছে তখন লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত এ দেশকে ক্ষমতা লোভীরা জিম্মি করে রেখেছে।
যে লক্ষ্যে লাখো শহীদ জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন তা আজও পূর্ণাঙ্গ ভাবে অর্জিত হয়নি। বরং ৪৮ বছরে বহুবার গণতন্ত্র, বাক স্বাধীনতা, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। যা এখন ভয়াল রুপ ধারণ করেছে। ফলে জাতি এখন দারুন ভাবে হতাশায় নিমোজ্জিত।
মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা বীরোচিত ভূমিকা রেখেছেন তাদেরকে চরম ভাবে লাঞ্চিত করা হচ্ছে। ড. কামালের মত স্বাধীন দেশের সংবিধান প্রণেতা ও বাংলায় প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ স ম আব্দুর রবসহ বহু মুক্তিযোদ্ধার উপর লজ্জাজনক হামলা করায় হয়েছে এই বিজয়ের মাসেই।
শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নানা ভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। জাতির জন্য দূর্ভাগ্য ও লজ্জার বিষয় যাদের ত্যাগের বিনিময়ে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে তাদের বিশাল অংশ আজ অবহেলিত। তাদের উত্তরসুরিদের অনেকে মানবেতর জীবন যাপন করছে। অথচ রাষ্ট্রীয় শক্তি বিজয়ের চেতনাকে পুঁজি করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলে ব্যস্ত। মহান বিজয়ের চেতনা হওয়ার কথা ছিল এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। কিন্তু দু:খজনকভাবে মুক্তিযুদ্ধকে স্বার্থ হাসিলের উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। জাতির গৌরবের মুক্তিযুদ্ধকে দলীয় ও ব্যক্তিগত হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে।
যে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য সেই মুক্তিযুদ্ধকে ব্যবহার করেই জাতিকে বিভক্ত করা হচ্ছে। যারা আজ মুক্তিযুদ্ধের একচ্ছত্র দাবীদার তাদের দ্বারাই মুক্তিযুদ্ধের মর্যাদা ভূলুন্ঠিত হচ্ছে বার বার। কিন্তু ছাত্রশিবির তার প্রত্যয় ভূলে যায়নি। বিজয়কে অর্থবহ করতে এবং একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার উদ্দেশ্যে যোগ্য নেতৃত্ব তৈরীর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
ছাত্রশিবিরের নেতৃবৃন্দরা বলেন, একটি মহল স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষের ধোয়া তুলে প্রকৃত পক্ষে দেশকে এক গভীর অনিশ্চিয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ক্ষমতার মসনদকে পাকাপোক্ত করতে বার বার জাতীয় স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতার মূল উদ্দেশ্য জাতীয় ঐক্য, গণতন্ত্র, সুশাসন ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা আজো স্বপ্নই রয়ে গেছে।
দেশে গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার কেড়ে নেয় এবং সার্বভৌমত্ত্ব বিলিয়ে দেয়া মুক্তিযুদ্ধের সাথে চরম প্রতারণা ছাড়া কিছু নয়। কিন্তু এ প্রতারণা নতুন প্রজন্ম মেনে নেয়নি এবং নেবেও না। ছাত্রশিবিরের প্রতিটি নেতাকর্মী প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে হলেও বিজয়কে অর্থবহ করা এবং স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
গণতন্ত্র ও অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রশ্নে কোন ছাড় দেয়া হবেনা। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ৪৮তম বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র্যালী করে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ শাখা। সকাল ৮টায় কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদক সালাউদ্দিন আইয়ুবির নেতৃত্বে র্যালীটি রাজধানীর গেন্ডারিয়া রেলস্টেশন থেকে শুরু হয়ে জুরাইন মোড়ে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
এসময় শাখা সেক্রেটারী কাজী মাসুম সরকার, সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা সাদেক বিল্লাহসহ শাখার বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ গ্রহণ করে। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী পূর্ব শাখা এক বর্ণাঢ্য র্যালী ও সমাবেশের আয়োজন করে। সকাল ৮টায় রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় র্যালী ও সমাবেশ করে নেতাকর্মীরা। এময় মহানগরী সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন হেলালী, অর্থ সম্পাদক- মুজিবুর রহমান, অফিস সম্পাদক আবুল খায়ের সহ মহানগরী ও থানা নেতৃবৃন্দে উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা মহানগরী উত্তর কেন্দ্রীয় শিক্ষা সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম, পাঠাগার সম্পাদক জামিল মাহমুদের নেতৃত্বে, রাজধানীর বাড্ডা বিশ্বরোডে বর্ণাঢ্য র্যালী করে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী উত্তর শাখা। সকাল সাড়ে ৯ টায় র্যালীটি বাড্ডা বিশ্বরোড থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদিক্ষণ করে সমাবেশে মিলিত হয়।
এসময় মহানগরী সভাপতি আজিজুল ইসলাম সজীব, মহানগর সেক্রেটারি মুস্তাফিজুর রহমান, অফিস সম্পাদক মাহমুদ মুরাদ, প্রচার সম্পাদক তাসদিদ জামান, মাদ্রাসা সম্পাদক নজরুল ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম মহানগরী উত্তর ৪৮তম বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগরী উত্তর নগরীতে বর্ণ্যাঢ্য র্যালী বের করে। কেন্দ্রীয় দাওয়াহ কার্যক্রম সম্পাদক শাহ মুহাম্মদ মাহফুজুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে র্যালীটি নগরীর খাতুনগঞ্জ থেকে শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে নতুন ব্রীজ এলাকায় গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
মহানগরী সভাপতি আহমেদ সাদমান সালেহ’র সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি আ স ম রায়হান’র পরিচালনায় এতে আরো উপস্থিত ছিলেন শিবির নেতা হাসান এলাহী, এম এম আমান প্রমুখ।
ময়মনসিংহ মহানগরী মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালীর আয়োজন করে।
ছাত্রশিবির ময়মনসিংহ মহানগরী শাখা। সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত এ র্যালীতে অংশ গ্রহণ করেন মহানগরী সেক্রেটারি মাহমুদ মুস্তাকীম, বাকৃবি সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, মোমেনশাহী জেলা উত্তর সভাপতি ইকবাল হাসান, মোমেনশাহী জেলা দক্ষিন সভাপতি দেলোয়ার হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।
সিলেট মহানগরী ৪৮তম বিজয় দিবস উপলক্ষে নগরীতে বর্ণাঢ্য র্যালীর আয়োজন করে ছাত্রশিবির সিলেট মহানগরী শাখা। সকাল ১০টায় শাখা সভাপতির নেতৃত্বে নগরীর আম্বরখান এলাকায় র্যালী ও সমাবেশ করে নেতাকর্মীরা। এতে বিভিন্ন পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ গ্রহণ করে।
রংপুর মহানগরীবিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র্যালীর আয়োজন করে ছাত্রশিবির রংপুর মহানগরী শাখা। সকাল ১০টায় মহানগরী সভাপতি সামিউল ইসলামের নেতৃত্বে নগরীতে র্যালী ও সমাবেশ করে নেতাকর্মীরা। এসময় শাখা সেক্রেটারি আশিকুর রহমানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বরিশাল মহানগরী মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালীর আয়োজন করে বরিশাল মহানগরী। সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত এ র্যালীতে নেতৃত্বে দেন কেন্দ্রীয় বিতর্ক সম্পাদক কামরুল হাসান। এময় মহানগরীর সভাপতি মুহাম্মদ জাফর ইকবাল ও মহানগরীর সেক্রেটারি মু. রুকনুজ্জামান সহ মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা মহানগরী ৪৮তম বিজয় দিবস উপলক্ষে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ও পুরস্কার বিতরণের আয়োজন করে ছাত্রশিবির খুলনা মহানগরী শাখা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন। এসময় মহানগরী সভাপতি হাবিবুর রহমানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
লক্ষীপুর শহর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে নগরীতে বিশাল র্যালী ও সমাবেশ করে ছাত্রশিবির লক্ষীপুর শহর শাখা। সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত এ র্যালীতে উপস্থিত ছিলেন শহর সভাপতি- মোঃ আবু জাফর লক্ষীপুর জেলা সভাপতি- ফজলুল করিম, শহর সেক্রেটারী শাহরিয়ার রহমানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের হাজার হাজার নেতাকর্মী।
নরসিংদী শহর নগরীতে বর্ণাঢ্য র্যালীর আয়োজন করে ছাত্রশিবির নরসিংদী শহর শাখা। শাখা সভাপতি আব্দুল কাইয়ূম এর পরিচালনায় ও সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল মানুন এর ব্যবস্থাপনায় র্যালীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সমাজসেবা সম্পাদক শাহিন হাসান প্রধান। র্যালীটি নরসিংদী শহরের বাজির মোড় থেকে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শিক্ষা চত্তরে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
মৌলভীবাজার শহর ৪৮ তম বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র্যালীর আয়োজন করে ছাত্রশিবির মৌলভীবাজার শহর শাখা। সকাল ৯টায় মৌলভীবাজার শহরের কুসুমবাগ এলাকা থেকে র্যালীটি শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পশ্চিমবাজার এলাকায় এসে সমাবেশে মিলিত হয়।র্যালী পরবর্তী সমাবেশে শহর শিবিরের সেক্রেটারি মিছবাহুল হাসানের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবির মৌলভীবাজার শহর শাখার সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন। এসময় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবির মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি আব্দুল মুমিত, জেলা সেক্রেটারি কামরুল ইসলাম।
পটুয়খালী শহর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালীর আয়োজন করে ছাত্রশিবির পটুয়াখালী শহর শাখা। সকাল ৯টায় নগরীতে অনুষ্ঠিত র্যালীতে উপস্থিত ছিলেন, পটুয়াখালী শহর সভাপতি কবির হোসাইন, পটুয়াখালী জেলা সভাপতি তালহা বিন আমিন, শহর সেক্রেটারি সাইদ রবি, জেলা সেক্রেটারি- গালিব হোসেন, শহর অর্থ সম্পাদক সোহানুর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি আকতার হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র্যালীর আয়োজন করে ছাত্রশিবির কক্সবাজার শহর শাখা। সকাল ৯ টায় কেন্দ্রীয় কলেজ কার্যক্রম সম্পাদক তৌহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে নগরীতে বিশাল র্যালী করে নেতাকর্মীরা। এসময় শাখা সভাপতি রিদুয়ানুল হক জিসান, সাবেক ছাত্রনেতা তৈয়ব উল্লাহসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বগুড়া শহর ৪৮তম বিজয় দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালীর আয়োজন করে ছাত্রশিবির বগুড়া শহর শাখা। সকাল ১০টায় বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে নগরীতে বিশাল র্যা লী ও সমাবেশ করে নেতাকর্মীরা। ভোলা শহর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শহরে বর্ণাঢ্য র্যালীর আয়োজন করে ছাত্রশিবির ভোলা শহর শাখা। শাখা সভাপতির নেতৃত্বে সকাল ১০টায় নগরীতে র্যালী ও সমাবেশ করে নেতাকর্মীরা।
কক্সবাজার জেলা ৪৮তম বিজয় দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালীর আয়োজন করে ছাত্রশিবির কক্সবাজার জেলা শাখা। এতে নেতৃত্বেদেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক আসাদুল্লাহিল গালিব। এসময় শাখা সভাপতিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ গ্রহণ করে।
ভোলা জেলা ছাত্রদের মাঝে জাতীয় পতাকা বিতরণ ও ক্রিকেট টুর্নামেন্টের মাধ্যমে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করে ছাত্রশিবির ভোলা জেলা শাখা। এতে জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন।
কুমিল্লা জেলা পশ্চিম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করে ছাত্রশিবির কুমিল্লা জেলা পশ্চিম শাখা। খেলা পরিচালনা ও পুরস্কার বিতরণ করেন জেলা সভাপতি গোলাম মাওলা হামিদী, সেক্রেটারি আশিকুর রহমান অফিস সম্পাদক, সানাউল্লাহ গাজী, প্রকাশনা সম্পাদক আনোয়ার হোসাইন। এসময় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। মাহফুজুর রহমান সহাকারী প্রচার সম্পাদক বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
বিভিন্ন ধরনের সামরিক অস্ত্র তৈরীর পাশাপাশি ইরান এখন মহাকাশ প্রযুক্তিতে ও হাত দিয়েছে। ইতিমধ্যেই ইরান তার নিজস্ব প্রযুক্তিতে মহাশুন্যে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠিয়েছে। নিংসন্দেহে এটা একটি বিরাট অর্জন। ইরান তার নিজস্ব প্রযুক্তিতে চালু করেছে হেভি ওয়াটার তৈরীর ইন্ডাষ্ট্রি, যা প্রযুক্তি ক্ষেত্রে তার উন্নতিরই সাক্ষ্য বহন করে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন যুক্তরাষ্ট্র গত ৫ই নভেম্বর থেকে ইরানের বিরুদ্ধে আবারো অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করেছে। ইরানের রফতানি আয়ের প্রধান উৎস জ্বালানী তেলের রফতানি শুন্যের কোটায় নামিয়ে আনার মাধ্যমে ইরানের অর্থনীতি দুর্বল করা এবং এর মাধ্যমে ইরানের সরকার পরিবর্তনই যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান লক্ষ্য। ইরানের বিরুদ্ধে আরোপিত এই অর্থনৈতিক অবরোধকে ইসরাইল বরাবরের মতই সমর্থন জানিয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার জবাবে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি অত্যন্ত দৃঢ় ও দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করেছে -তারা কিছুতেই এই অবরোধ মানবেনা এবং এই অবরোধকে তারা মোকাবেলা করেই এগিয়ে যাবে। বিশ্বের দুই পরাশক্তি রাশিয়া এবং চীন বরাবরের মতই ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত অর্থনৈতিক অবরোধের নিন্দা জানিয়েছে এবং তারা ইরানের পাশে দাড়িয়েছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান ও এই অর্থনৈতিক অবরোধের বিরোধিতা করেছে। অপরদিকে ইউরোপিয় ইউনিয়ন ও এই অবরোধের বিরোধিতা করেছে। এভাবে ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ইস্যুতে বিশ্ব বরাবরের মতই বিভক্ত হয়েছে এবং অনেক শক্তিশালী দেশ ইরানের পাশে দাড়িয়েছে। আর এটা ইরানের অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে। সুতরাং ইরানের বিরুদ্ধে আরোপিত যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা অবরোধে ইরান দুর্বল হবে না বরং সময়ের প্রেক্ষাপটে শক্তিশালী হবে। ইরানের বিরুদ্ধে আরোপিত এই নিষেধাজ্ঞার প্রধান কারণ ইরানের পরমাণু কর্মসুচি। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইলের মতে ইরানের হাতে পরমাণু অস্ত্র থাকা বিশ্বের শান্তির জন্য হুমকি। ইরান যদি ও বারবার বলেছে- তার পরমাণু কর্মসুচী শান্তিপূর্ন এবং এটা তার দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুত চাহিদা মেটানোর জন্য, তবু যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের আশংকা ইরান গোপনে পরমাণু বোমা তৈরীর জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। আর এজন্যই ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের দীর্ঘ বৈরিতা এবং দীর্ঘদিন ধরেই অর্থনৈতিক অবরোধ ছিল। ইরানের পরমাণু কর্মসুচী বন্ধ করার জন্য ২০১০ সালের ৯ জুন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ইরানের বিরুদ্ধে চতুর্থ দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। ইরানের বিরুদ্ধে এর আগেও তিন বার নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়েছিল। অবশেষে দীর্ঘ আলোচনা শেষে বিগত ২০১৫ সালের ১৪ ই জুলাই অষ্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ইরানের পরমাণুু কর্মসুচি নিয়ে ইরানের সাথে বিশে^র ছয় পরাশক্তির সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির একপক্ষ হচ্ছে ইরান আর অপর পক্ষ হচ্ছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভেটো ক্ষমতার অধিকারী পাঁচটি পরমাণু শক্তিধর দেশ -যুক্তরাষ্ট্র ,রাশিয়া, চীন, বৃটেন, ফ্রান্স এবং জার্মানি। তবে ইসরাইল বরাবরই এই চুক্তির বিরোধীতা করেছে। চুক্তিটি ওই বছরের ২০ শে জুলাই জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদেও সর্বসম্মতভাবে পাশ হয়। চুক্তিটির সার সংক্ষেপ হচ্ছে – ইরান একটি নির্দিষ্ট সীমারেখা পর্যন্ত তার পরমাণু কর্মসুচী চালাবে, তবে পরমাণু বোমা বানাবে না। বিনিময়ে ইরানের ওপর আরোপিত অথনৈতিক অবরোধ উঠে যায়। এই চুক্তির মাধ্যমে ইরানের পরমাণু কর্মসুচী নিয়ে ইরানের সাথে পশ্চিমা বিশ্বের দীর্ঘদিনের যে দ্বন্দ্ব, বৈরিতা এবং বাকযুদ্ধ ছিল তা থেকে বিশ্ববাসী আপাতত মুক্তি পায়। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসাবে ক্ষমতার অধিষ্ঠিত হবার পর থেকেই ইরানের সাথে সম্পাদিত এই সমঝোতা চুক্তি থেকে সরে আসার কথা বলতে থাকেন এবং অবশেষে ২০১৮ সালের ৮ ই মে আনুষ্ঠানিকভাবে এই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৫ ই নভেম্বর থেকে ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র আবারো অর্থনৈতিক অবরোধ ঘোষণা করেন। তবে ইরানের সাথে সম্পাদিত চুক্তির অবশিষ্ট পাঁচটি দেশ – রাশিয়া, চীন, বৃটেন, ফ্রান্স এবং জার্মানি এই চুক্তি মেনে চলার অঙ্গীকার করেন। ইরানের পরমাণু কর্মসুচী বন্ধ এবং ইরানকে দুর্বল করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইলের যে অবিরাম প্রচেষ্টা তারই ধারাবাহিকতায় গত ৫ ই নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে আরোপিত এই নিষেধাজ্ঞায় ইরানের পরমাণু কর্মসুচী ধ্বংস হবে না এবং ইরান অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল ও হবে না। তবে সাময়িক সমস্যায় পড়বে মাত্র, যা কাটিয়ে উঠা ইরানের পক্ষে কঠিন হবে না। ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা তো বরাবরই আরোপিত ছিল। এবারের অবরোধ ও অতীতের অবরোধের মতই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। সেই ১৯৭৯ সালে খোমেনীর নেতৃত্বে ইরানে ইসলামপন্থীরা ক্ষমতা দখলের পর থেকেই কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইলের সাথে ইরানের বৈরিতা চলছে। এই বৈরীতা চলে আসছে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামরিক ক্ষেত্রে। এসব মোকাবেলা করেই কিন্তু ইরান টিকে আছে। সুতরাং যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞায় ইরানের পরমাণু কর্মসুচী বন্ধ হয়ে যাবে এবং ইরান দুর্বল হয়ে যাবে এমনটি ভাবার কারণ নেই। মনে রাখতে হবে ইরান সবদিক দিয়ে শক্তিশালী একটি রাষ্ট্র। আয়তন, জনসংখ্যা, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামরিক সবদিক দিয়েই ইরান অনেক শক্তিশালী। তেল, গ্যাসসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ ইরানের রয়েছে একটি অত্যন্ত শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তি। অধিকন্তু ইরানে ক্ষমতায় রয়েছে একটি বিপ্লবী সরকার, যাদের পিছনে রয়েছে শক্তিশালী ও স্বতঃস্ফূত জনসর্মথন, যারা কট্টর ইসলামপন্থী, দেশপ্রেমিক, জাতীয়তাবাদী ও যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইল বিরোধী। সুতরাং ইরানের মত একটি দেশের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করে সফলতা অর্জন করা কারো পক্ষে অতটা সহজ নয়। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইলসহ পশ্চিমাদের সাথে ইরানের বিরোধ থাকলেও বিশ্বের অধিকাংশ শক্তিশালী রাষ্ট্রের সাথেই তার রয়েছে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠতা। বিশ্বের দুই বৃহৎ পরাশক্তি রাশিয়া এবং চীনের সাথে ইরানের রয়েছে দীর্ঘদিনের গভীর রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক। দেশ দুটির সাথে ইরানের দীর্ঘদিনের এবং গভীর প্রযুক্তি এবং সামরিক সম্পর্ক ও রয়েছে। অপরদিকে কিউবা, ভেনিজুয়েলা, ব্রাজিলসহ অধিকাংশ ল্যাটিন আমেরিকার দেশের সাথেই ইরানের ভাল রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। একইভাবে উদীয়মান পরাশক্তি ভারতের সাথে ও রয়েছে ইরানের সখ্যতা। পাশাপাশি মুসলিম বিশ্বের শক্তিশালী দেশ পাকিস্তান, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, সিরিয়া, ইরাক এবং সুদানের সাথে ইরানের রয়েছে নিবিড় একটি সম্পর্ক। একইভাবে ইসরাইলের চরম শত্রু ফিলিস্তিনের হামাস এবং লেবাননের হিজবুল্লাহর সাথে ইরানের রয়েছে অন্যরকম সেতুবন্ধন। এতগুলো শক্তিশালী রাষ্ট্রের সাথে যার বন্ধুত্ব, অর্থনৈতিক অবরোধে তাকে দুর্বল করাটা সম্ভব নয়। আর ইরানের ব্যবসা বানিজ্য কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বরাবরই কম। তাছাড়া এবারের অবরোধ কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা আরোপিত । তার সাথে ইসরাইল ছাড়া কেউই নাই। পরমাণু সমঝোতা চুক্তি করে আবার সেই সমঝোতা চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়াটা আর্ন্তজাতিক পরিমণ্ডলে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। অপরদিকে চুক্তি স্বাক্ষরকারী রাশিয়া, চীন, বৃটেন, ফ্রান্স এবং জার্মানি কর্তৃক চুক্তি মেনে চলার প্রতিশ্রুতি যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানকে আরো দুর্বল করেছে । রাজনৈতিক আর অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সফলতা অর্জনের পাশাপাশি ইরান কিন্তু প্রযুক্তি এবং সামরিক খাতে ও যথেষ্ট সফলতা অর্জন করেছে। ইরান এখন তৈরী করছে বিভিন্ন ধরনের গাড়ী এবং মেশিনারী। ইরান সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রযুক্তিতে সেনাবাহিনীর জন্য তৈরী করেছে কামান, ট্যাংক, রকেট এবং ভুমি থেকে ভুমিতে নিক্ষেপযোগ্য দুরপাল্লার ক্ষেপনাস্ত্র। বিমানবাহিনীর জন্য তৈরী করেছে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান এবং আকাশ থেকে নিক্ষেপ যোগ্য ক্ষেপনাস্ত্র। একইভাবে নৌবাহিনীর জন্য তৈরী করেছে অত্যন্ত দ্রুত গতির টর্পেডো আর অত্যাধুনিক ফ্রিগেট। স্বাভাবিকভাবেই সামরিক প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ইরানের সফলতা অনস্বীকার্য। এদিকে বিভিন্ন ধরনের সামরিক অস্ত্র তৈরীর পাশাপাশি ইরান এখন মহাকাশ প্রযুক্তিতে ও হাত দিয়েছে। ইতিমধ্যেই ইরান তার নিজস্ব প্রযুক্তিতে মহাশুন্যে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠিয়েছে। নিংসন্দেহে এটা একটি বিরাট অর্জন। ইরান তার নিজস্ব প্রযুক্তিতে চালু করেছে হেভি ওয়াটার তৈরীর ইন্ডাষ্ট্রি, যা প্রযুক্তি ক্ষেত্রে তার উন্নতিরই সাক্ষ্য বহন করে। ইরান ঘোষণা করেছে সে উচ্চ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে সক্ষম এবং পরমাণু জ্বালানী সে বিদেশে রপ্তানী করবে। স্বাভাবিকভাবেই একথা নিশ্চিতে বলা যায় ইরান জ্ঞান-বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির বিভিন্ন শাখায় একটি অবস্থান তৈরী করেছে, যার উপর ভিত্তি করে ইরানের অগ্রগতি শুরু হয়েছে। প্রযুক্তি এখন ইরানীদের আয়ত্তে আর এটাকে এখন কেবল বিকশিত করার পালা। এ অবস্থায় ইরানের ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ ইরানের জনগনকে ঐক্যবদ্ধ করবে এবং ইরানের বিজ্ঞানীদেরকে নতুন নতুন আবিস্কারের নেশায় উদ্ধুদ্ধ করবে। আর এ নেশা ইরানীদেরকে এনে দেবে প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং নতুন নতুন আবিষ্কারের সফলতা। যে জাতি জ্ঞান-বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই এতটা সফলতা অর্জন করেছে সেই জাতি নিশ্চয়ই অবরোধের কাছে হার মানবে না। সুতরাং যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধে ইরান দুর্বল হবে না বরং স্বনির্ভরতা অর্জন করবে। লেখক : প্রকৌশলী এবং উন্নয়ন গবেষক