Wednesday, December 12, 2018

ছাত্রশিবিরের শক্তির উৎস কোথায় ? জানালেন সাবেক সভাপতি আব্দুল জাব্বার।

কক্সবাজারের রামু সেনা ক্যান্টনমেন্টের গেইটের অসাধারণ দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্য

SHIELD GATE of Ramu Cantonment:





Ramu Cantonment Gate:

রামু সেনানিবাস কক্সবাজারের রামু উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নবগঠিত একটি সেনানিবাস।এটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০মপদাতিক ডিভিশনের সদর দপ্তর।মিয়ানমার এর সাথে সীমান্ত বিরোধ,রোহিঙ্গা সমস্যা,২০০৮ সালের সমুদ্রবিরোধ সহ নানা কারনে কক্সবাজার এবং রামুর নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষায় রামু সেনানিবাস প্রতিষ্ঠা করা হয়। রামুতে অবস্থিত সেনানিবাসটির মোট আয়তন ১৭৮৮.৯৮ একর(এক হাজার সাতশত আটাশি দশমিক আটানব্বই একর)।
বর্তমান রোহিঙ্গা সমস্যায় রামু সেনানিবাস কক্সবাজারের নিরাপত্তা রক্ষায় অন্যতম চাবিকাঠি হিসেবে কাজ করেছে।রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা,ক্রান বিতরন,রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শান্তিশৃঙ্খলা বিধানে রামু সেনানিবাস এবং সেনাবাহিনীর অবদান অনস্বীকার্য। ইয়াবা সমস্যা,চোরাচালান রোধ,মিয়ানমারের স্পাইদের আটক করা সহ নানা ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর রয়েছে ঈর্ষণীয় সাফল্য।বর্তমানে রামু সেনানিবাসে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর,বোটানিক্যাল গার্ডেন,রামু ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল,ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজ,জরুরি অবস্থায় বিমান উঠানামার জন্য ক্যান্টনমেন্ট এর রাস্তাসমূহকে রানওয়ে হিসেবে ব্যবহারের সুবিধা,অফিসার্স মেস,অত্যাধুনিক অগ্নি-নির্বাপন ব্যবস্থা,সামরিক কর্মকর্তাদের জন্য আবাসস্থল,কৃত্রিম বন,হেলিপ্যড,এফ এম-৯০,স্যাম সিস্টেম,এন্টি এয়ারক্রাফট গান,ড্রোন সিস্টেম,আর্টিলারি সিস্টেম,টাইপ ৫৯ বিডি ট্যাংক,এপিসি,নিজস্ব ফাইবার অপটিক এবং স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন ব্যবস্থা,বিদ্যুৎ ব্যবস্থা,ট্রাস্ট ব্যাংক শাখা,এটিএম বুথ এবং ইন্টালিজেন্স উইং।
রামু ক্যান্টনমেন্ট এর একটি অংশের মূল ফটক এ রয়েছে তিনটি করে মোট ছয়টি সোনালি তীরের ভাস্কর্য।এর অপর নাম “Shield Gate”.. যা মুলত সেনাবাহিনীর যুদ্ধের মনোবল নির্দেশ করে।প্রাচীন আমল থেকেই Shield বা তীর আক্রমন এবং রক্ষণশীলতার প্রতীক।অপর ফটকের সামনের অংশে রয়েছে হাতির দু’টি সাদা দাতের স্তম্ভ।এর নামকরণ করা হয়েছে “Southern Gate”..যা মুলত দক্ষিণাচলের নিরাপত্তা রক্ষায় ১০ম পদাতিক ডিভিশনের ফরমেশন,সক্ষমতা এবং মনোবল নির্দেশ করে।হাতি ডাঙায় থাকা সবচাইতে বৃহৎ এবং শক্তিশালী প্রানী,তারা দল বেধে থাকে,দলের কেউ আক্রান্ত হলে হামলা করে।জংগলের কেউ হাতিকে ঘাটানোর সাহস করেনা।হাতির দাত মহামুল্যবান বস্তু এবং তা গৌরবের প্রতীক।অপরিসীম শক্তির অধিকারী এই প্রানীর কাছে বনের সবাই মাথা নত করে।এছাড়া হাতি দ্বারা মেইন ব্যাটেল ট্যাংক এম্বিটি-২০০০ ও নির্দেশ করে।কারন তা সেনাবাহিনীর গর্বের প্রতীক।সে হিসেবে রামুতে কিছু এম্বিটি-২০০০ ও থাকতে পারে।

মিনা ফারাহ্ এর কথায় বুঝা যায়, কামরুজ্জামান স্যার নির্দোষ ছিলেন।




Popular Posts