Thursday, May 30, 2019

পৃথিবীর সবচেয়ে বেশী গম্বুজ এবং দ্বিতীয় উচ্চতম মিনার বিশিষ্ট সুন্দর মসজিদ হচ্ছে টাঙ্গাইলে


২০১ গম্বুজ মসজিদ হলো পৃথিবীর সবচেয়ে বেশী গম্বুজ এবং দ্বিতীয় উচ্চতম মিনার বিশিষ্ট মসজিদ। এই মসজিদের নকশা করা হয়েছে ২০১টি গম্বুজ ও ৯টি মিনার দিয়ে সজ্জিত একটি পূর্নাঙ্গ মসজিদ কমপ্লেক্স হিসেবে। মসজিদটি এখনো নির্মাণাধীন। ২০১ গম্বুজ মসজিদ বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার নগদা শিমলা ইউনিয়নের দক্ষিণ পাথালিয়া গ্রামে অবস্থিত।


২০১৩ সালের জানুয়ারি এই মসজিদ নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মসজিদটি মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে নির্মিত হচ্ছে। এ কাজের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের মা রিজিয়া খাতুন। মসজিদ নির্মাণে ব্যয় হবে আনুমানিক ১০০ কোটি টাকা। ২০১৭ সালে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নির্মাণ কাজ এখনো চলছে। নির্মাণ শেষ হলে কাবার ইমাম এসে নামাযের ইমামতি করে মসজিদটি উদ্বোধন করবেন।
পৃথিবীর ইতিহাসে কখনো এত সংখ্যক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ তৈরী হয়নি।অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদের ছাদে ৮১ ফুট উচ্চতার একটি গম্বুজ রয়েছে। এই বড় গম্বুজের চারপাশে ছোট ছোট গম্বুজ আছে ২০০টি। এদের প্রত্যেকের উচ্চতা ১৭ ফুট। মূল মসজিদের চার কোণায় রয়েছে ৪টি মিনার। এদের প্রত্যেকের উচ্চতা ১০১ ফুট। পাশাপশি আরও চারটি মিনার আছে ৮১ ফুট উচ্চতার। সবচেয়ে উঁচু মিনারটি মসজিদের পাশেই অবস্থিত। এর উচ্চতা ৪৫১ ফুট। ১৪৪ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৪৪ ফুট প্রস্থের দ্বিতল এই মসজিদে একসঙ্গে প্রায় ১৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন।
মসজিদের দেয়ালের টাইলসে অংকিত রয়েছে পূর্ণ পবিত্র কোরআন শরিফ। যে কেউ বসে বা দাঁড়িয়ে মসজিদের দেয়ালে অংকিত কোরআন শরিফ পড়তে পারবেন। মসজিদের প্রধান দরজা নির্মাণে ব্যবহার করা হবে ৫০ মণ পিতল। আজান দেওয়ার জন্য মসজিদের সবচেয়ে উঁচু মিনারে বানানো হবে। মসজিদটি সম্পুর্ন শিতাতপ নিয়ন্ত্রিত হলেও এতে সহস্রাধিক বৈদ্যুতিক পাখা যুক্ত করা হবে।
See this video:

বোমাবাজরা দেশ গণতন্ত্র এবং ইসলামের শত্রু-- শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী

(একবার ক্লিক করে ভিডিও চালু না হলে ২য় বার ক্লিক করুন)

Tuesday, May 28, 2019

জঙ্গিবাদ ইস্যুতে শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাতকার

(একবার ক্লিক করে ভিডিও চালু না হলে ২য় বার ক্লিক করুন)

দেশের প্রথম কুরআন ভাস্কর্য:দূর-দূরান্ত থেকে আগত কুরআন প্রেমিকদের ঢল

 বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা পৌরসভায় দেশের প্রথম কুরআন ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে। ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর ভাস্কর্যটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।
ভাস্কর্যটি তৈরি করেছেন ঢাকার চারুকলা ইনস্টিটিউটের ছাত্র ভাস্কর কামরুল হাসান শিপন।কসবা পৌরসভার মেয়র এমরানুদ্দীন জুয়েলের তত্ত্বাবধানে ভাস্কর্যটি নির্মাণ করা হয়েছে। সৌদি আরবের জেদ্দা বিমানবন্দর থেকে নেমে পবিত্র নগরী মক্কার প্রবেশদ্বারে কুরআনের আদলে তৈরি যে বিশাল তোরণ রয়েছে। সে তোরণের ডিজাইনের আলোকেই কসবা উপজেলা সদরের ব্যস্ততম কদমতলা মোড়ে তৈরি করা হয়েছে এ ভাস্কর্যটি। ভাস্কর্যের উচ্চতা ১৬ ফিট এবং প্রস্থ ৮ ফিট। ভাস্কর্য নির্মাণকারী ঠিকাদার রতন সরকার জানান, এটি তৈরিতে ২ লাখ টাকার বেশি খরচ হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রথম কুরআনের ভাস্কর্যটি দেখতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভিড় করছে স্থানীয় ও দেশের দূর-দূরান্ত থেকে আগত কুরআন প্রেমিক জনতা। কুরআনের আদলে তৈরি এ ভাস্কর্যটি যেন কুরআন প্রেমিক জনতার হৃদয়ের তাজমহল। ব্যতিক্রমধর্মী এ অসামান্য ভাস্কর্য নির্মাণের সাথে জড়িতরা জেলার সব শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছে। দেশের আলেম সমাজও তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে। পাশাপাশি কুরআনের এ ভাস্কর্যের প্রতি যেন অবমাননা না হয় সেদিকেও নজর রাখার বিশেষ আহ্বান জানিয়েছে আলেম সমাজ।
See this video:

Popular Posts