Monday, August 12, 2019

আল্লাহর ৯৯ নামের দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্য কুমিল্লার মুরাদনগরে

মহান আল্লাহ তায়ালার গুণবাচক ৯৯ নাম খচিত দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্য 'আল্লাহু চত্ত্বর' এর উদ্বোধন করা হয়েছে। এটি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা সদরের বাসস্ট্যান্ডের পূর্বপাশের তিন রাস্তার মোড়ে অবস্থিত। যার প্রশংসা রয়েছে এলাকাবাসী, পথচারী ও দর্শনার্থীদের মুখে মুখে।
সম্প্রতি আওয়ামী লীগ কেন্দ্রিয় কমিটির সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক এবং এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি স্থানীয় সংসদ সদস্য ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন এফসিএ’র উদ্যোগে এ ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে।
চত্বরটির মাঝখানে সু-বিশাল একটি পিলারে চারপাশে খোদাই করে লেখা হয়েছে আল্লাহর ৯৯টি নাম এবং চূড়ায় বড় করে লেখা হয়েছে 'আল্লাহু'।
বাসস্ট্যান্ডের পাশে চত্ত্বরটি গড়ে উঠায় উপজেলা সদর এখন আরও জনপ্রিয় ও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। যার প্রশংসা রয়েছে এলাকাবাসী, পথচারী ও দর্শনার্থীদের মুখে মুখে। পুরো কুমিল্লা জেলায় আল্লাহর নামে স্থাপিত এই চত্ত্বরটি সবচেয়ে সেরা চত্ত্বর এবং চত্ত্বরটি স্থানীয় সংসদ সদস্য ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুনের উত্তম কাজের একটি মাইল ফলক হয়ে থাকবে বলেও বিশ্বাস স্থানীয় এলাকাবাসীর।
See this video report:

Wednesday, August 7, 2019

জামায়াত শিবিরের সাড়ে তিন হাত বডিতে সত‍্যিই কি ইসলাম নেই? - জবাবদানে মাওলানা মাসউদুর রহমান


(জবাবদানকারী একজন ক্বওমী আলেম:) বন্ধুরা, সমালোচকরা প্রায়ই বলে থাকেন, বিশেষ করে ক্বওমী ঘরনার লোকজন গিবত করে বেড়ান জামায়াত শিবিরের সারে তিন হাত বডিতে ইসলাম নেই এবং তাদের আমল নেই।

আমার সন্দেহ হয় সমালোচক শ্রেণী ইসলাম ও আমল কাকে বলে তার মূল তত্ত্ব কথা জানেন কি না? জামায়াত শিবিরের লোকজন কোরআন সুন্নাহ ও ঈমান আমলকে যে ভাবে প্রাকটিস করে থাকেন, আমি জোর গলায় বলতে পারি সমালোচক শ্রেণী তার সিকিভাগও করেন না।


জামায়াত শিবিরের লোকজনের উপর স্বরণকালের যে ভয়াবহ জুলুম নির্যাতন চলছে, নিকট অতীতে তার নযির আছে কি না আমার জানা নেই।
এমন একটি দলের নাম বলুন, এতো জুলুম নির্যাতনের পর টিকে থাকতে পারে? তার পর ও যারা বলে বেড়ায় জামায়াত শিবিরের আমল ঠিক নেই, তাদের ব‍্যপারটি আল্লাহর হাওলায় ছেড়ে দিলাম। আমি বিশ্বাস করি সমালোচক শ্রেণীর গোটা আমলকে যদি একত্রিত করা হয়, একজন মাজলুম জামায়াতী ভাইয়ের সমান হবে না।

আল্লাহর রহমত আছে বলেই একটি নিরীহ ক্ষুদ্র দল বাতিলের মোকাবেলায় ইস্পাত কঠিন ধৈর্য্যের পরীক্ষা নিয়ে টিকে আছে।

তবে এ কথা ঠিক যে, জামায়াত শিবিরের কিছু লোক শার্ট প্যান্ট ও কোর্ট টাই পড়ে থাকেন। আমি বলি তারা যদি পায়জামা-পাঞ্জাবি পড়তো, তো ভালো ছিল।
মালয়শিয়া ও মিশরের বড়ো বড়ো খতীবগণ শার্ট প্যান্ট ও কোর্ট টাই পড়ে খুতবা পাঠ করে থাকেন, যদি শার্ট প্যান্ট ও কোর্ট টাই এতোই খারাপ হতো, তাহলে তারা পড়ে কেন? আমি জানি যারা শার্ট প্যান্ট ও কোর্ট টাইয়ের সমালোচনা করে থাকেন, তারা টাই প‍্যান্ট পড়লে ওয়ালা থেকে নিয়মিত চাঁদা কালেকশন করে থাকেন, টাই প‍্যান্ট পড়লে ওয়ালার সাথে তাদের দহরম-মহরম চোখে পড়ার মতো। তখন কি তাদের শরম লাগে না! কথায় বলে:  যারে দেখতে নারি, তার চলন বাঁকা !
জানি তার পর ও সমালোচকদের মুখ বন্ধ হবে না। আসুন দরদ নিয়ে একে অপরের কাছাকাছি আসার চেষ্টা করি! আল্লাহ তৌফিক দান করুন আমীন।
(মাওলানা মাসউদুর রহমান, নবীনগর, বি. বাড়িয়া)

Popular Posts